নড়াইলের সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামে ঘেরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে তারা মারা যায়।

সোমবার  (২৫ আগস্ট) সকালে নড়াইল সদর থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরো পড়ুন:

সুনামগঞ্জের হাওরে নৌক ডুবে নিখোঁজ ২ 

নীলফামারীতে সেচ ক্যানেলে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

মারা যাওয়া শিশুরা হলো- দিঘলিয়া গ্রামের কৃষক ইকরামুল মোল্যা ও রোকাইয়া দম্পতির মেয়ে আমেনা খাতুন (৭) এবং নাফিস মোল্যা (৫)।

এলাকাবাসী জানান, রবিবার বিকেলে রোকাইয়া বেগম বাড়ির পাশের ঘের পাড়ে পাটের আঁশ বের করার কাজ করছিলেন। আমেনা ও নাফিস সেখানে খেলা করছিল। এ সময় ইকরামুল মেয়ে আমেনা ও ছেলে নাফিসকে বাড়িতে যেতে বলে বাজারে চলে যান। আমেনা ও নাফিস বাড়িতে না গিয়ে ঘেরের পানিতে গোসল করতে নামে। বিষয়টি তাদের মা রোকাইয়া বেগম টের পাননি। দীর্ঘ সময় সন্তানদের ঘের পাড়ে না দেখে রোকাইয়া তাদের খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘের থেকে তাদের মরদেহ করা উদ্ধার হয়।

নড়াইল সদর থানার ওসি মো.

সাজেদুল ইসলাম সোমবার  (২৫ আগস্ট) সকালে বলেন, “ঘেরের পানিতে ডুবে আমেনা ও নাফিস নামে আপন ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাতেই পরিবারের কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে

খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।

ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।

হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় না

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।

খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।

কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’

পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ