কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
Published: 26th, August 2025 GMT
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার চিত্র উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বিশেষ দল এ অভিযানে অংশ নেয়।
অভিযান শেষে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের ব্রিফ করেন সমন্নিত গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক।
তিনি বলেন, “প্রথমে সকাল ৯টা থেকে ছদ্মবেশে টানা দুই ঘণ্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবজারভেশন করি। তাতে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা আমরা পাই। যেমন জরুরি বিভাগে যারা সহকারী হিসেবে কাজ করে, তারা ব্যান্ডেজ বাঁধা বা ওষুধ দেওয়ার পর ৫০/১০০ টাকা জোর করে নিচ্ছে।
‘যে অভিযোগগুলো পেয়েছি তা আমাদের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হবে। তারা পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। জনগণের অর্থ ও সেবার স্বচ্ছতা নিশ্চিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করেছি। তদন্তে অভিযোগগুলোর সত্যতাও মিলেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজেও অনিয়মের দায় স্বীকার করেছেন।”
অভিযোগগুলো ছিল- কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত দেরিতে অফিসে আসেন, ফলে রোগীরা সঠিক সময়ে সেবা পান না; সরকার নির্ধারিত তিন টাকার পরিবর্তে রোগীদের কাছ থেকে পাঁচ টাকা করে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে; হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ আল্ট্রা-সনোগ্রাম ও এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে। ফলে রোগীদের বাইরের বেসরকারি হাসপাতালে বা ক্লিনিকে উচ্চমূল্যে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে; রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের এবং পরিমাণেও কম; রান্নাঘর ও হাসপাতালের পরিবেশের ছিল অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা এবং স্টোরের মজুত মালামালের হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার মিল পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
ঢাকা/রফিক/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।”
ঢাকা/ইভা