নারায়ণগঞ্জের শিল্প দূষণের বাস্তবচিত্র অনুধাবন, প্রতিরোধের উপায় এবং সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নির্ধারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র উদ্যোগে ‘নারায়ণগঞ্জের পরিবেশগত অধিকার সুরক্ষায় শিল্প দূষণ রোধ ও সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে নগরীর আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন। সভায় বক্তারা শিল্প ও নগরায়ণের কারণে পরিবেশ, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং নদ-নদীর ওপর ভয়াবহ প্রভাবের কথা তুলে ধরেন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। 
বেলার প্রোগ্রাম অ্যান্ড ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর এ এম এম মামুন তার উপস্থাপনায় বলেন, ‘নারায়াণগঞ্জে ধারণক্ষমতার বাইরে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। শিল্প বর্জ্যের কারণে অন্যতম নদী শীতলক্ষ্যা এখন তৃতীয় দূষিত নদী। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জে কোনভাবেই নতুন শিল্পকারখানার অনুমতি প্রদান ঠিক হবে না।’ তিনি শিল্প দূষণের কারণে বায়ু ও মাটি দূষণের চিত্র তুলে ধরেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রতিবেদন উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রতি বছর নারায়ণগঞ্জে এক শতাংশ কৃষিজমি অকৃষি খাতে হারিয়ে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে সদর উপজেলায় ৫৭১ হেক্টর জমি কমে গেছে। ‘পরিবেশ দূষণের কারণে স্থানীয়রা নানা দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং কৃষকরা পেশা পরিবর্তন করছে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘শিল্প দূষণ রোধে সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ঈঊঞচ) স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ছাদ বাগানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত উদ্যোগকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’ 
নারায়ণগঞ্জের ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, মানুষ সরাসরি ড্রেনে বর্জ্য ফেলে। এজন্য জনগণের সচেতনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ আহমেদ বলেন, ‘শিল্প দূষণের একটি প্রধান পরিণতি হল বিভিন্ন জলাশয়, খাল ও নদী দূষণ। তবে জলাবদ্ধতার জন্য শিল্প দূষণ একা দায়ী নয়, খালের ওপর অনুমোদনহীন সাঁকো ও বাজার বর্জ্যও দায়ী। খালের উপর অনুমদনহীন সাঁকো বানানো হয় যা পানির প্রবাহ কমিয়ে দেয়। নাগরিক হিসেবে আমরা সচেতন না। আমরা নিজেরা খাল ভরাট করে ফেলি। যার ফলে জলবদ্ধতা তৈরি হয় । দেখা যায় পানি বাহিত রোগ।’
তিনি জানান, ৯টি খাল পুনঃখনন করা হয়েছে এবং সিটিপি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জনসচেতনতা এখন আমাদের প্রধান কাজ। এজন্য সাইনবোর্ড, লিফলেট ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে জানাতে হবে যেন ময়লা না ফেলে। পাশাপাশি কেউ যদি ময়লা ফেলে, তবে তার বিরুদ্ধে জরিমানা ও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
মা ও শিশু কল্যাণের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুনু বলেন, “নারায়ণগঞ্জ শহরে ড্রেনেজ লাইন নেই। বর্জ্য অরক্ষিত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখা হয়।”
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি জালাল ভূঁইয়া বলেন, “মেঘনা ইকনমিক জোন ৫০০ একর জমি দখল করে স্থাপন করা হয়েছে। এটি উচ্ছেদে সরকারি পদক্ষেপ প্রয়োজন। নাগরিকদের যুক্ত করে সম্মিলিতভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।”
ব্যবসায়ী ও সংগঠক মহাম্মাদ আনিস বলেন, “শিশুদের পরিবার থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শিক্ষা দিতে হবে। শহরের বাইরে সিটিপি সহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করতে হবে।”
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সহকারী প্রধান আহমাদ শামস কাদির বলেন, “শিল্প প্রতিষ্ঠানের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। ৩আর টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে। সামগ্রিকভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার বিকল্প নেই।”
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মাদ ইসমাইল হুসসাইন বলেন, “শহরের ভেতর ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান খালে বর্জ্য ফেলছে যা পরে সরাসরি নদীতে যেয়ে পরে । জনগণের সোচ্চার থাকার কারণেই নদীগুলো এখনো টিকে আছে।”
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াসির আরাফাত বলেন, “ওয়েস্ট উৎপাদন বন্ধ করা যাবে না, তবে সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আমরা প্লাস্টিক ওয়েস্ট রিসাইকেল করে রাস্তায় কারপেটিং প্রকল্প নিয়েছি।”
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মো.

উমার ফারুক বলেন, “পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা সঠিকভাবে বর্জ্য অপসারণ করে না।”
জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী রতন চন্দ্র সরকার বলেন, “জেলা পরিষদ বর্জ্য নিষ্পত্তির ভ্যান সরবরাহ করেছে। ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে, তবে সচেতনতার অভাবে শহরের ড্রেনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মহাম্মাদ জহিরুল হক বলেন, “বতমান অবস্থা কৃষির জন্য ভয়াবহ। নারায়ণগঞ্জের সবজিতে সহনীয় মাত্রার বেশি ক্যাডমিয়াম পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত কৃষিজমি কমে যাওয়ায় উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি দূষণের কারণে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং ভারী ধাতু খাদ্যের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে।”
তিনি বলেন। তিনি আরও যোগ করেন, কীটনাশক কমানো এবং পলিথিন ব্যবহারের প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে হবে । সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।”
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক সোহেল আখতার বলেন, “নারায়ণগঞ্জ ঐতিহাসিকভাবে শিল্প এলাকা। ইটিপি ছাড়া কোন প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হয় না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় প্রতিনিধি ও তরুণ সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
পরিবেশ অধিদফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর এ এইচ এম রাশেদ বলেন, “৪২টি প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিরা ইটিপি স্থাপন করেছে। তবে লাইসেন্স ছাড়া অনেক কারখানা চালু রয়েছে। শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন জরুরি।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আহমেদ আলি (সিনিয়র সহকারী সচিব, বিজিএমইএ), মোহাম্মাদ ওয়ালিউল্লাহ (সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, শিল্প পুলিশ-৪, নারায়ণগঞ্জ)।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র র সহক র পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।

নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।

নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।

তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা। 

এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা। 

এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। 

তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।

চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না। 

এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। 

এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই। 

তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।

তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো? 

আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।

এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

 এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
  • ফতুল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি
  • নারায়ণগঞ্জে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩
  • সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা রিয়াদের দুই মেয়ে গুরুতর আহত : দোয়া প্রার্থনা 
  • আড়াইহাজারের সেপটি ট্যাংকির ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
  • ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে