লোহালিয়া নদী থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার
Published: 3rd, September 2025 GMT
পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদী থেকে রেজাউল (২৮) ও তুহিন (২৫) নামের দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ধলু হাওলাদার বাড়ি-সংলগ্ন নদী থেকে রেজাউলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে লোহালিয়া সেতুর নিচ থেকে তুহিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
অটোরিকশার চালক রেজাউল সদর উপজেলার ভূরিয়া ইউনিয়নের নুরু বয়াতির ছেলে। তুহিন পটুয়াখালী শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালাম হাওলাদারের ছেলে।
গত সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধাওয়া খেয়ে তুহিন ও তার বন্ধু আল আমিন নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে আল আমিন সাঁতরে নদীর তীরে উঠতে পারলেও তুহিন নিখোঁজ হন।
রেজাউল সোমবার সকালে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। সেদিন রাতে লোলালিয়া এলাকার কাশিপুর রোড থেকে তার অটোরিকশা উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নদী থেকে পরপর দুটি লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তুহিনের মামা সোবাহান বলেছেন, আল আমিন তুহিনের স্ত্রীর কাছে ফোন দিয়ে জানায়, সোমবার রাত ১১টায় ব্রিজ সংলগ্ন ডকইয়ার্ড এলাকায় ডিবির তাড়া খেয়ে তারা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। সে (আল আমিন) নদী সাঁতরে ওপারে গিয়ে ঢাকায় চলে যায়। পরে তুহিনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এতে আমাদের সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। এরপর আমরা নদীতে খোঁজাখুঁজি করে তুহিনের মরদেহ পাই।
এ বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক জসিম উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, দুটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুই যুবকের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
ঢাকা/ইমরান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে
খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।
ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।
হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় নাসম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।
কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’
পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা