চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকাবাসীর নিরাপত্তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর মডেল থানা স্থাপনের আবেদন জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ আবেদন জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে পর্যটকদের সঙ্গে অটোরিকশার চালকদের সংঘর্ষ, আহত ১২

ফাঁকা পড়ে আছে বিএনপির মঞ্চ, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

পত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও সংলগ্ন এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক জনগণের বসবাস। এই জনবহুল এলাকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে যে সমস্ত সমস্যা যেমন- চুরি, রাহাজানি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, স্বার্থের সংঘাতের কারণে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ ইতোমধ্যে সব অপরাধই ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হাটহাজারী থানার পক্ষে তাদের সীমিত জনবল দিয়ে সম্ভব নয়। এজন্যে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ থানা প্রতিষ্ঠা করা অত্যাবশ্যক। 

গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট স্থানীয় এলাকাবাসীর আক্রমণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক অবক্ষয়ের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সার্বক্ষণিক পুলিশের উপস্থিতি প্রয়োজন।

পত্রে আরো বলা হয়, এমতাবস্থায়, চবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পুরো এলাকাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নতুন মডেল থানা প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

পত্রের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রিয়াজ হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পত্রটি ইমেইল করা হয়েছে। আজ (বুধবার) চিঠির হার্ডকপি পাঠানো হয়েছে।”

এর আগে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় চবি মডেল থানা এবং পার্শ্ববর্তী রেলক্রসিং এলাকায় পুলিশবক্স স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ১২টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ এল ক য় স ঘর ষ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।

বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।

ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ