কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে চার পাওয়ালা একটি কানি বকের দেখা মিলেছে। বকটির দুটি পা স্বাভাবিক থাকলেও অন্য পা দুটি অস্বাভাবিক আকারের ছোট। 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাটারি গ্রামের ক্ষুদ্র হাড়িপাতিল ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রশিদের বাড়িতে বকটির দেখা মিলেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাড়িপাতিল বিক্রি করে সংসার চালান আব্দুর রশিদ। পেশার তাগিদে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়ান তিনি। প্রতিদিনের মত গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) হাড়িপাতিল বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন আব্দুর রশিদ। পুকুরের পাড় ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে ফেরার সময় একটি কানি বককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কাছে যান। হঠাৎ চোখ পড়ে বকটির পায়ের দিকে। দেখতে পান অনান্য বকের চেয়ে এ বকটির পায়ের সংখ্যা বেশি। দুটি নয়, চারটি পা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বকটি। 

কৌতুহলি হয়ে ওঠেন তিনি। সেসময় বকটি ধরে বাড়িতে এনে খাঁচায় বন্দি করে রাখেন। চার পা-ওয়ালা ওই বকটি দেখতে প্রতিদিন আব্দুর রশিদের বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে।

চার পায়ের বক দেখতে আসা আমিরুল বলেন, “এ বয়সে অনেক বক দেখেছি। চার পা ওয়ালা বক কখনও দেখিনি। সবই আল্লাহর ইচ্ছা।”

হাড়িপাতিল ব্যবসায়ী মো.

আব্দুর রশিদ বলেন, “বকটি প্রথমে দেখে অবাক হই। আমার খু্ব আগ্রহ জাগে। বকটি কৌশলে ধরে এনে খাঁচায় ভরে রেখেছি। বকটিকে খাওয়াতে বাজার থেকে মাছ কিনে আনি। বকটির খুবই যত্ন নেওয়া হচ্ছে।”

ফুলবাড়ি প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান কনক বলেন, “এটি একটি দেশি প্রজাপতির বক। গ্রামের মানুষজনের কাছে কানি বক বলে পরিচিত। জন্মগত ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে।”

ঢাকা/বাদশাহ্/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বকট র

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২০, আহত তিন শতাধিক

উত্তর আফগানিস্তানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রায় ৩২০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য  জানিয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফাত জামান আজ সোমবার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, বালখ এবং সামাঙ্গান প্রদেশে প্রাথমিকভাবে নিহত ও আহতের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ভূমি অফিসকে আস্থার প্রতিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে: সিনিয়র সচিব

ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৯

ক্ষতি প্রত্যক্ষকারী এএফপির সাংবাদিকের মতে, ভূমিকম্পে ১৫ শতকের স্মৃতিস্তম্ভ মাজার-ই-শরিফের নীল মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের খুলম থেকে ২২ কিলোমিটার (১৪ মাইল) পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ২৮ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১২ টা ৫৯ মিনিটে এটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় বলেছে, উদ্ধার ও জরুরি সহায়তা দলগুলো বালখ এবং সামাঙ্গান প্রদেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছেছে। আহতদের স্থানান্তর ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তাসহ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভূমিকম্পে মাজার-ই-শরিফের নীল মসজিদ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এএফপি জানিয়েছে, অলঙ্কৃত কাঠামোর টুকরো, বিশেষ করে এর একটি মিনার ভেঙে মাটিতে পড়ে গেছে।

শতাব্দী প্রাচীন এই স্থানটি আফগানিস্তানের সবচেয়ে সম্মানিত ধর্মীয় নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি এবং ইসলামিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবের সময় একটি প্রধান সমাবেশস্থল। এটি দেশটির কয়েকটি পর্যটন স্থানের মধ্যে একটি।

রাজধানী কাবুল এবং আফগানিস্তানের আরো কয়েকটি প্রদেশেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাহাড় থেকে পাথর পড়ার কারণে কাবুলের সঙ্গে মাজার-ই-শরিফের সংযোগকারী একটি প্রধান মহাসড়ক কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, তবে পরে রাস্তাটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তান ধারাবাহিকভাবে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটি প্রায়শই এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অসুবিধার সম্মুখীন হয়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

গত ৩১ আগস্ট পাকিস্তান সীমান্তের কাছে পূর্ব আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। তালেবান সরকারের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প এবং তার পরে শক্তিশালী আফটারশকে কমপক্ষে চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ