বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামিকে মাথা থেতলে হত্যা
Published: 6th, September 2025 GMT
বগুড়ায় শাকিল খন্দকার (৪০) নামে এক হত্যা মামলার আসামিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং মাথা থেতলে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে বগুড়ার তেলিপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার সকালে ওই এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে শাকিলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই নিহত শাকিল এবং প্রতিপক্ষ শামীম ও সুজনের গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত শাকিলের পক্ষে চারজন এবং শামীম ও সুজনের পক্ষের ৫ জন আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত শাকিল খন্দকার শহরের ছিলিমপুর মিয়াপাড়া এলাকার বাকিবুল্লাহ খন্দকারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিপ্লব হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেলিপুকুর এলাকায় বালুর ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাকিলের সঙ্গে স্থানীয় শামীম ও পলাশের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার রাতে জমি কেনাবেচার পাওনা দেড় লাখ টাকা নিয়ে তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে শাকিলকে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে সুজন তাকে ডেকে নেন। শাকিলের ভাগ্নে তৌফিকও তার সাথে যান। সেখানে গেলে পলাশ ও শামীম প্রায় ৩০-৪০ জন সহযোগী নিয়ে তাদের দুজনকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে শাকিলের লোকজনের সঙ্গে শামীম ও পলাশের লোকজনের মধ্যে পুনরায় মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সকালে ধানক্ষেত থেকে শাকিলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান বাসির বলেন, ‘‘ভারী কোন বস্তু দিয়ে শাকিলের মাথায় আঘাত করার ফলে মাথার মগজ বের হয়ে গেছে। এ ছাড়া গায়ে লাঠি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছি ময়নাতদন্তের জন্য। এ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজনই আহত রয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। থানায় এখনও কেউ মামলা করেনি।’’
ঢাকা/এনাম//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের
লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ
জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!
রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।
ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!
২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।
এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।
এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।