পুঁজিবাজারে ওষুধ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনাটা পিএলসি কানাডার ফার্মাসিউটিক্যাল বাজারে তাদের প্রথম ওষুধ উন্মোচন করেছে। এর মাধ্যমে উত্তর আমেরিকার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশ করল রেনেটা।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, রেনেটা তাদের ডেসোজেস্ট্রেল বা ইথিনাইলইস্ট্রাডিওল (০.

১৫ মি.গ্রা./০.০৩ মি.গ্রা.) ট্যাবলেট কানাডার বাজারে বাজারজাত করেছে। এই পণ্যটি ‘মাইলি ২১’ এবং ‘মাইলি ২৮’ ব্র্যান্ডনামে সেখানে পাওয়া যাবে। নারীদের জন্য তৈরি এই ট্যাবলেট বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় কনট্রাসেপটিভ ওষুধগুলোর মধ্যে একটি।

রেনেটা জানিয়েছে, কানাডার সুপরিচিত জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাম্বিকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ইনকর্পোরেটেডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই ওষুধ বাজারজাত হচ্ছে। কোম্পানিটির শক্তিশালী মার্কেটিং নেটওয়ার্ক রেনেটাকে নতুন বাজারে প্রবেশে সহায়তা করেছে।

কানাডার মতো উন্নত ওষুধের বাজারে প্রবেশ তাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণে বড় মাইলফলক। এ উদ্যোগ কোম্পানির আয় বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশি বাজারে উপস্থিতি আরও সুদৃঢ় করবে বলে মনে করে রেনাটা।

ঢাকা/এনটি/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ