বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে, কথার ফুলঝুরিতে নয়। বিএনপি জনগণের জন্য যা করেছে তা বাস্তবমুখী এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক ছিল। কথার জালে মানুষকে বিভ্রান্ত করা বিএনপির নীতি নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ভেবটগাড়ী আদিবাসী ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা.

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘বিএনপি কাজে বিশ্বাসী, কথার ফুলঝুরিতে মানুষকে ভুলিয়ে রাখার দল নয়। মেয়েদের স্কুলে লেখাপড়ার জন্য কোন বেতন দিতে হয় না, এটি ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যুগান্তকারী উদ্যোগ। আজ দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। এ কৃতিত্ব বিএনপি সরকার ও বেগম খালেদা জিয়ার।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমাদের সবার সমান অধিকার রয়েছে। কাউকে দুর্বল মনে করার কোনো সুযোগ নেই, আবার কাউকে প্রভাবশালী ভেবে ভয় পাওয়ারও দরকার নেই। আপনারও একটি ভোট, আমারও একটি ভোট এই সমতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়া উচিত। আমার চেয়ে আপনার বেশি অধিকার নেই, আবার আপনার চেয়ে আমারও বেশি অধিকার নেই। তাই আমাদের উচিত একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।’’

উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জাহিদ হাসান বলেন, ‘‘দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য বিএনপি সব সময় কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও কাজ করবে। জনগণই দেশের মালিক, এই বিশ্বাস নিয়ে বিএনপি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং থাকবে।’’

ঢাকা/মোসলেম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।  

এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর  মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।

এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব  হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।

সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ