জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে নারী আসন বাড়িয়ে সরাসরি ভোট, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও নির্বাচনী ব্যয় কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। নওগাঁয় গতকাল সোমবার জেলা পর্যায়ের সংলাপে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তাঁরা এ আহ্বান জানান।

গাইবান্ধা জেলা শহরের সার্কুলার রোডের একটি হোটেলের মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় একশনএইডের নেতৃত্বে সুশীল প্রকল্পের অধীনে গাইবান্ধার বেসরকারি সংগঠন এস কে এস ফাউন্ডেশন এ বৈঠকের আয়োজন করে। এ আয়োজনের প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো।

আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিয়াদুর রহমান বলেন, মধ্যপন্থার রাজনৈতিক দল হিসেবে ডানপন্থা ও বামপন্থার মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখার মাধ্যমে এনসিপি দলিত, উপজাতি ও সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করে যাবে। জাতীয় সংসদে নারীদের আসন বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে মনে করি, নারী আসন ১০০টিতে উন্নীত করে সরাসরি নির্বাচন দিতে হবে।’

আরও পড়ুনসংসদে নারী, সংখ্যালঘু ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তরুণসমাজ, সংখ্যালঘু, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.

মাহমুদুন্নবী বলেন, তাঁদের দলের ৩১ দফায় এসব বিষয় স্পষ্টভাবে বলা আছে। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, একই কাজ নারী ও পুরুষ উভয়কে করতে দিলে নারীরাই সেই কাজ ভালো করে। বিএনপি নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী।’

জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. আবদুর রহিম সরকার মনে করেন, ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থান শুধু নির্বাচনের জন্য আসেনি। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা নতুন বাংলাদেশের কথা বলেছেন—এটা তাঁদের আকাঙ্ক্ষা। ৫৪ বছরের যে বাংলাদেশ ছিল, তার পরিবর্তন আনতে হবে। জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে। সংস্কার অবশ্যই হতে হবে। না হলে আগের মতো ভোট ডাকাতি হবে। পেশিশক্তি ও কালোটাকার শক্তি ভোটকেন্দ্রকে অনিরাপদ করে দিতে পারে। পিআর পদ্ধতির যৌক্তিকতাও তুলে ধরেন আবদুর রহিম। নারীদের আসন বৃদ্ধির পক্ষেও মত দেন তিনি।

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দিচ্ছেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক জনগ ষ ঠ র আসন ব

এছাড়াও পড়ুন:

চরাঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা ও নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ করে ভোটারদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে দ্রুত গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবিগুলো উঠে আসে। বক্তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সংসদীয় আসনে নারী আসন বৃদ্ধি, যুব প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষের স্বার্থ রক্ষার সুপারিশ করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা সদরের উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে জেলা পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় একশনএইডের নেতৃত্বে সুশীল প্রকল্পের অধীনে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস)’ এ বৈঠকের আয়োজন করে। এ আয়োজনের প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো।

বিএনপির ৩১ দফায় নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর মর্যাদার কথা বলা আছে উল্লেখ করে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বৈঠকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমাদের দল নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নে নারীদের জন্য সুযোগ রাখবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে চরাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু ও যুবসমাজের প্রতিনিধি আরও বাড়ানো হবে।’

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিগগিরই প্রশাসকরা দায়িত্ব নেবে ৫ ব্যাংকের
  • চরাঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি
  • চারটি দলের সঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যুক্ত হলো জাগপা