অভিনেতা হবে কুকুরের মতো, পূজা ভাটের নির্যাতন প্রসঙ্গে মুজাম্মেল
Published: 18th, September 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা মুজাম্মেল ইব্রাহিম। ২০০৭ সালে ‘ধোঁকা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে বলিউডে পা রাখলেও তা দুঃস্বপ্নে রূপ নেয়। কারণ পরিচালক পূজা ভাটের অকথ্য নির্যাতন তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল। এতে করে মনের ভেতর যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন ৩৯ বছরের এই অভিনেতা।
হিন্দি রুশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুজাম্মেল ইব্রাহিম বলেন, “আমি আগে কখনো এতটা টক্সিক পরিবেশ দেখিনি। আমি এতটা গালাগাল শুনে অভ্যস্ত ছিলাম না। ওটা আমার জন্য খুবই ট্রমাটিক অভিজ্ঞতা ছিল।”
আরো পড়ুন:
বাবার ঠোঁটে মেয়ের চুমু: সেই বিতর্কিত ছবি নিয়ে ফের মুখ খুললেন পূজা
মহেশের ‘আপত্তিকর’ স্পর্শ, নেটদুনিয়ায় নিন্দার ঝড় (ভিডিও)
প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করেছিলেন মুজাম্মেল। কারণ কাশ্মীর থেকে পরিবারকে মুম্বাইয়ে নিয়ে এসেছিলেন। তার সামনে বিকল্প কোনো কিছু ছিল না। তাই ভেতরে ভাঙা অনুভব করলেও কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হন। মুজাম্মেল বলেন, “অসহ্য নির্যাতন সহ্য করেও আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব ছিল না। কারণ আমি ছিলাম পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এটি আমাকে শেষ করে দিয়েছিল। এটা ভাবলেও আমার কষ্ট হয়, আমি যা সহ্য করেছি তা কাউকে বলতেও পারিনি। কারণ ওরা প্রভাবশালী লোকজন।”
পরিচালক পূজা ভাটের সঙ্গে মুজাম্মেলের সমস্যা ছিল। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “মহেশ ভাট সিনেমার বেশিরভাগ অংশের শুটিং করেছিলেন। কিন্তু সমস্যা শুরু হয়, যখন পূজা ভাট সিনেমাটির দায়িত্ব নেন। শুধু পরিচালক আমাকে কষ্ট দিয়েছেন। টিমটি দারুণ ছিল। ভাট সাহেব ‘ধোঁকা’ সিনেমার পর আমাকে আরো তিনটি সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে আমি একটাও গ্রহণ করিনি।”
‘রাজ টু’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মুজাম্মেল। যদিও সিনেমাটি পূজা ভাট পরিচালনা করেননি। এই সিদ্ধান্তের জন্য তাকে চরম মূল্য দিতে হয়। মুজাম্মেল বলেন, “তারা আমার ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল।”
সিনেমাটির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় অনেকের তা ভালো লাগেনি। এ তথ্য উল্লেখ করে মুজাম্মেল বলেন, “আমার পরিচালক (পূজা ভাট) মিডিয়ার মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছিলেন এবং নানা গুজব ছড়িয়েছিলেন। তিনি আমাকে হেয় করতে ‘নারী হওয়ার সুবিধা’ নিয়েছিলেন। তার ভাব ছিল, ‘অভিনেতা হবে কুকুরের মতো; বসতে বললে বসতে হবে, দাঁড়াতে বললে দাঁড়াতে হবে।”
পূজার নির্যাতন মুজাম্মেলের ভেতরে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ওটা আমার ভেতরে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। ওই সময়টা ছিল অত্যন্ত মানসিক চাপপূর্ণ ও যন্ত্রণাদায়ক। সেই অভিজ্ঞতা আমার ইনসমনিয়া ট্রিগার করে; এখনো এ রোগে ভুগছি।”
২০০৩ সালে ‘গ্ল্যাডর্যাগস ম্যানহান্ট ইন্ডিয়া’ জিতে মুজাম্মেল অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৭ সালে ‘ধোঁকা’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এরপর ‘হর্ন ওকে প্লিজ’, ‘উইল ইউ মেরি মি?’ এর মতো কিছু সিনেমায় তাকে দেখা গেলেও সেগুলো বিশেষ সাফল্য পায়নি। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ ‘স্পেশাল অপস’-এ। এটি ২০২০ সালে মুক্তি পায়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।
বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।
নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।
ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী