অবশেষে শঙ্কিত অপেক্ষার পালা শেষ হলো বাংলাদেশ দলের। সুপার ফোরে টিকে থাকতে লিটন দাসদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফলের দিকে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতের সেই ম্যাচ শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বাংলাদেশ। কারণ, শ্রীলঙ্কার জয়েই খুলে গেছে টাইগারদের সুপার ফোরের দরজা।

মোহাম্মদ নবীর টর্নেডো ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে বেশ বিপাকে পড়ে লঙ্কানরা। দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা (৬) ও কামিল মিশারা (৪)। তবে দলের হাল ধরেন কুশল মেন্ডিস। শাস্তিদায়ক ড্রাইভ, কাট আর নির্ভুল স্কোয়ার শটে খেলেন অপরাজিত ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস (৫২ বলে ১০ চারে)। তার ইনিংসই শেষ পর্যন্ত ৮ বল আগেই লঙ্কানদের ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।

আরো পড়ুন:

মুশফিকের সামনে ঐতিহাসিক মাইলফলক

নবীর ব্যাটে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল আফগানিস্তান

মেন্ডিসকে দারুণ সঙ্গ দেন কুশল পেরেরা (২৮) ও অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা (১৭)। আর ইনিংসের শেষ দিকে ঝড় তোলেন কামিন্দু মেন্ডিস। তিনি মাত্র ১৩ বলে অপরাজিত ২৬ রান করেন।

বল হাতে আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী ও নুর আহমদ একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানদের। গুরবাজ (১৪) আর সেদিকুল্লাহ আতল (১৮) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইকেট। মাঝমাঠে ইব্রাহিম জাদরান (২৪) ও রশিদ খান (২৪) চেষ্টা করলেও বড় রান আনতে ব্যর্থ হন। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নবী। মাত্র ২২ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় গড়েন বিধ্বংসী ৬০ রানের ইনিংস। তার ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে আফগানিস্তান থামে ৮ উইকেটে ১৬৯ রানে।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে নুয়ান থুশারা ছিলেন বোলিং আক্রমণের মূল নায়ক। নিখুঁত ইয়র্কার আর নিয়ন্ত্রিত লেন্থে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে তুলে নেন ৪ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন দুশমান্থে চামিরা, দুনিথ ওয়েলালাগে ও দাসুন শানাকা।

এই জয়ে গ্রুপ ‘বি’ এর তিন ম্যাচের তিনটিই জিতে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সঙ্গে ৩ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশও। আফগানিস্তান যদিও লড়াই করেছে প্রাণপণ, তবু দুই ম্যাচ হারের আঘাতেই শেষ হলো তাদের এবারের এশিয়া কাপ যাত্রা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএতে ফুলটাইম ও পার্টটাইম এমবিএ, সিজিপিএ ২.৫০ লাগবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) ২০২৫-২৬ সেশনে ফুলটাইম ও পার্টটাইম এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

কোর্সের বৈশিষ্ট্য

১. আবেদনকারীকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

২. ভর্তির আবেদন ফি ২০৮০ টাকা।

আবেদনের যোগ্যতা

১. যেকোনো ডিসিপ্লিনে ব্যাচেলর ডিগ্রি, কমপক্ষে সিজিপিএ ২.৫০ থাকতে হবে (৪-এর মধ্যে) অথবা দ্বিতীয় শ্রেণি থাকতে হবে।

২. এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ–৫–এর মধ্যে কমপক্ষে ৩ অথবা দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে পৃথক পৃথকভাবে।

৩. ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেলের ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় পৃথক পৃথকভাবে কমপক্ষে জিপিএ–২ থাকতে হবে। বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইটে দেখুন।

৩. কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ বা ক্লাস গ্রহণযোগ্য নয়।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা কোর্স, যোগ্যতা এইচএসসি পাস১ ঘণ্টা আগেদরকারি তথ্য

১. বিদেশি নাগরিকত্ব ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারী আবেদনকারীর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে, যদি তাঁর জিআরই বা জিএমএটি স্কোর ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি হয়। তবে তাঁকে বোর্ডে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে।

২. সব বিদেশি সার্টিফিকেট/ডিগ্রির (‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল ব্যতীত) সমতা আইবিএর সমতা কমিটি দ্বারা নির্ধারিত হবে। এই সমতা ব্যতীত একজন আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য হবেন না।

৩. ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নয়—এমন কোনো প্রোগ্রাম থেকে ডিগ্রিধারী আবেদনকারী আবেদন করতে পারবেন না।

ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত

১. আবেদনের শেষ তারিখ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫।

২. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫।

৩. ভর্তি পরীক্ষার সময়: সকাল ১০টা।

৪. ভর্তি পরীক্ষার স্থান: আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট

সম্পর্কিত নিবন্ধ