শ্রীলঙ্কার জয়ে আফগানিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ, বাংলাদেশ সুপার ফোরে
Published: 19th, September 2025 GMT
অবশেষে শঙ্কিত অপেক্ষার পালা শেষ হলো বাংলাদেশ দলের। সুপার ফোরে টিকে থাকতে লিটন দাসদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফলের দিকে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতের সেই ম্যাচ শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বাংলাদেশ। কারণ, শ্রীলঙ্কার জয়েই খুলে গেছে টাইগারদের সুপার ফোরের দরজা।
মোহাম্মদ নবীর টর্নেডো ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে বেশ বিপাকে পড়ে লঙ্কানরা। দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা (৬) ও কামিল মিশারা (৪)। তবে দলের হাল ধরেন কুশল মেন্ডিস। শাস্তিদায়ক ড্রাইভ, কাট আর নির্ভুল স্কোয়ার শটে খেলেন অপরাজিত ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস (৫২ বলে ১০ চারে)। তার ইনিংসই শেষ পর্যন্ত ৮ বল আগেই লঙ্কানদের ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।
আরো পড়ুন:
মুশফিকের সামনে ঐতিহাসিক মাইলফলক
নবীর ব্যাটে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল আফগানিস্তান
মেন্ডিসকে দারুণ সঙ্গ দেন কুশল পেরেরা (২৮) ও অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা (১৭)। আর ইনিংসের শেষ দিকে ঝড় তোলেন কামিন্দু মেন্ডিস। তিনি মাত্র ১৩ বলে অপরাজিত ২৬ রান করেন।
বল হাতে আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী ও নুর আহমদ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানদের। গুরবাজ (১৪) আর সেদিকুল্লাহ আতল (১৮) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইকেট। মাঝমাঠে ইব্রাহিম জাদরান (২৪) ও রশিদ খান (২৪) চেষ্টা করলেও বড় রান আনতে ব্যর্থ হন। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নবী। মাত্র ২২ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় গড়েন বিধ্বংসী ৬০ রানের ইনিংস। তার ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে আফগানিস্তান থামে ৮ উইকেটে ১৬৯ রানে।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে নুয়ান থুশারা ছিলেন বোলিং আক্রমণের মূল নায়ক। নিখুঁত ইয়র্কার আর নিয়ন্ত্রিত লেন্থে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে তুলে নেন ৪ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন দুশমান্থে চামিরা, দুনিথ ওয়েলালাগে ও দাসুন শানাকা।
এই জয়ে গ্রুপ ‘বি’ এর তিন ম্যাচের তিনটিই জিতে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সঙ্গে ৩ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশও। আফগানিস্তান যদিও লড়াই করেছে প্রাণপণ, তবু দুই ম্যাচ হারের আঘাতেই শেষ হলো তাদের এবারের এশিয়া কাপ যাত্রা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বরাদ্দ ২১৮২ কোটি টাকা, দুই মাসে খরচ ‘শূন্য’
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৩২টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ আছে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এই বিপুল বরাদ্দের এক টাকাও খরচ করা সম্ভব হয়নি। এই পাঁচ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন হার ‘শূন্য’।
এই ‘হতভাগা’ পাঁচ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হলো পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, সংসদবিষয়ক সচিবালয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) জুলাই মাসের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, জননিরাপত্তা বিভাগের ১৪টি প্রকল্পে ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, কিন্তু এক টাকাও খরচ করতে পারেনি বিভাগটি। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০টি প্রকল্পে ৮৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও কোনো টাকা খরচ হয়নি। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৪ প্রকল্পে ১২১ কোটি টাকা; দুর্নীতি দমন কমিশনের ২ প্রকল্পে প্রায় ১০ টাকা এবং সংসদ সচিবালয়ের দুই প্রকল্পে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। কিন্তু এক টাকাও খরচ করতে পারেননি এসব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ওই ৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগে মোট বরাদ্দ ২ হাজার ১৮২ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ১৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জুলাই-আগস্ট মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হার মাত্র ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা কম।