রাজশাহী থেকে সৈয়দপুরগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ভোর ৬টার দিকে রাজশাহীর সারদা স্টেশনের কাছাকাছি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফলে সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার আহসান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। আশা করা যায়, এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

তিনি আরও বলেন, লাইনচ্যুতির ফলে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেস, সকাল ৭টার বিরতিহীন ট্রেন বনলতা এবং সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের ট্রেন সিল্কসিটি স্টেশনে আটকা পড়েছে। সিঙ্গেল লাইন থাকায় উদ্ধার অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ট্রেন যাওয়া আসা করতে পারছে না। উদ্ধারকাজ শেষ করতে সকাল ১০টা পার হয়ে গেলে বিরতিহীন ট্রেন বনলতার যাত্রা বাতিল করতে হবে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাজ শেষ করতে চেষ্টা করছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ