কমলাপুরে নতুন টার্ফ বসছে বলে থেমে আছে তৃণমূলের ফুটবল
Published: 13th, January 2025 GMT
ফিফার গোল প্রকল্পের অধীন ১০ বছর পর কমলাপুর স্টেডিয়ামে নতুন টার্ফ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে গত মাসে। তবে এখানে খেলা নেই পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে।
পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর বা চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল), সিনিয়র ডিভিশন লিগ, মেয়েদের লিগসহ অনেক খেলাই হয় কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ, পাইওনিয়ার লিগ, ডেভেলপমেন্ট কাপ, একাডেমি কাপের কিছু ম্যাচের ভেন্যুও এটি।
মেয়েদের জাতীয় দল, ছেলে–মেয়েদের বয়সভিত্তিক দল, বাফুফের এলিট একাডেমি, বিসিএলের ক্লাবসহ তৃণমূলের বিভিন্ন ক্লাবের অনুশীলনও এখানেই হয়। মাঠ কখনো ফাঁকা থাকে না।
এই অতি ব্যবহারেই বছর পাঁচেকের মধ্যেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল ফিফার অর্থায়নে ২০১৫ সালে স্থাপিত টার্ফটি। গত কয়েক বছর অনেক খেলোয়াড়ের চোটের কারণও হয়েছে তা। অবশেষে টার্ফটি তুলে ফেলা হয়েছে। মাঠের এক পাশে যা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এখন। মাঠের মধ্যে জায়গায় জায়গায় টার্ফের রাবারের দানার স্তূপ। গতকাল নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে জানা গেল, ছয়-সাত দিন ধরে কাজ বন্ধ। ১৬ জানুয়ারি যা আবার শুরু হওয়ার কথা।
ভিআইপি বক্সসহ মাঠের বিভিন্ন অংশের খারাপ অবস্থা।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক