বন্ধ করে দেওয়ার ২২ মাস ১৯ দিনের মাথায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা জীবন বীমা করপোরেশন (জেবিসি) আবার পেনশন বিমা পলিসি বা পরিকল্প চালু করেছে। ‘জেবিসি পেনশন বিমা’ নাম দিয়ে এ পলিসি চালু করা হয় গতকাল রোববার। ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া পলিসিটির নাম ছিল ‘ব্যক্তিগত পেনশন বিমা পলিসি’। দুই পলিসির বৈশিষ্ট্য একই ধরনের।

ঢাকার মতিঝিলে গতকাল রোববার এ পলিসির উদ্বোধন করেন জেবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো.

মুহিবুজ্জামান। এটির পাশাপাশি গতকাল ১৯ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী গ্রাহকসেবা পক্ষের উদ্বোধন করেন জেবিসির এমডি।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী তারুণ্যের উৎসব, ২০২৫ উদ্‌যাপন উপলক্ষে নতুন পেনশন পলিসি ও গ্রাহক সেবা পক্ষের উদ্বোধন করা হয় বলে জেবিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শায়লা শারমিন ও শেখ মোহাম্মদ হাসান নামের দুজন গ্রাহকের কাছে নতুন পেনশন পলিসির ফার্স্ট প্রিমিয়াম রিসিট (এফপিআর) আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

নতুন পলিসিতে কী আছে

‘জেবিসি পেনশন বিমা’ সম্পর্কে সংস্থাটি বলেছে, অবসরজীবনের আর্থিক প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখে এটি তৈরি করা হয়েছে। এ পলিসির গ্রাহকেরা আজীবন পেনশন–সুবিধা পাবেন। এ পলিসির নমিনিরাও থাকবেন পেনশনের আওতায়। মেয়াদ পূর্তিতে গ্রাহকেরা এককালীন অথবা মাসিক ভিত্তিতে পেনশন–সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

এ ছাড়া এর প্রিমিয়ামের ওপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে। পলিসিটির গ্রাহক হওয়া যাবে ২০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে। ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক—উভয়ভাবেই প্রিমিয়াম পরিশোধ করা যাবে। বিমার মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন পাঁচ বছর ও সর্বোচ্চ ৪৫ বছর। সর্বোচ্চ বার্ষিক পেনশন হবে বিমাগ্রাহকের সামর্থ্য অনুযায়ী। সর্বনিম্ন বার্ষিক পেনশন হবে ১০ হাজার টাকা। পেনশন পাওয়া যাবে ৫৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সে।

পেনশন শুরুর ১০ বছরের মধ্যে বিমাগ্রাহকের মৃত্যু হলে ১০ বছরের বাকি সময়ের জন্য পেনশনভোগীর নমিনি পেনশন পাবেন। বিমাগ্রাহক বিমার মেয়াদের মধ্যে মারা গেলে নমিনি বার্ষিক পেনশনের ১৫ গুণ সুবিধা পাবেন। বিমাগ্রাহকের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বার্ষিক পেনশনের পাঁচ গুণ পরিমাণ অর্থ এবং মৃত্যুর পরের ১০ বছর পর্যন্ত বার্ষিক পেনশন দেওয়া হবে।

আগে কেন বন্ধ হয়েছিল

জেবিসির প্রকৌশল ও সম্পত্তি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হান্নানুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বন্ধ করা হয়েছিল ব্যক্তিগত পেনশন বিমা পলিসি। অফিস আদেশে তখন বলা হয়েছিল, অলাভজনক হওয়ার কারণে অ্যাকচুয়ারিয়াল পরামর্শক ব্যক্তিগত পেনশন বিমা পলিসিটির বিপণন বন্ধ করার সুপারিশ করেছেন। ফলে এর বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ করা হলো। এ সুপারিশ জেবিসির পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন করেছে বলে ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর সংস্থার এক অফিস আদেশে সবাইকে জানানো হয়েছে।

জেবিসির তৎকালীন এমডি আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ খান তখন বলেছিলেন, এজেন্ট ও গ্রাহকদের লাভ হলেও পেনশন বিমা পলিসির কারণে সরকারের লোকসান হচ্ছিল। এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর পর থেকে সরকার চাইছিল ওদিকে মনোযোগ বাড়াতে। সব মিলিয়েই এটা বন্ধ করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র ষ ক প নশন ব ম গ র হক প নশন ব ম গ র হক র প নশন প ন প নশন পল স র এ পল স

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সাল) ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। কলা অনুষদের ১৭টি বিভাগের মোট ১৫৬ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। দেশে-বিদেশে প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান প্রধান অতিথি এবং সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক দরুল আমিন ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। এ অনূষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, অনুষদের শিক্ষকেরা, রেজিস্ট্রার ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন বাংলা বিভাগের মাহফুজা মাহবুব।

ইংরেজি বিভাগের জেরিন তাসনিম রাইসা, মানতাহা কিশোয়ার, মো. সারোয়ার কামাল ভূঁইয়া, তাওসিফ এহসান, আয়শা আক্তার সুমি, মোসা. ঈশিতা হক, লাবিব রশিদ ইনান ও তাশরিফা ফাইরুজ।

আরবি বিভাগের মাসুদুর রহমান, আবদুল্লাহ মজুমদার, আতহারুল ইসলাম শহিদ, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মুনতাসির আহমদ মুয়াজ, মাহমুদুল হাসান, এজাজুল হক, মো. সাজ্জাদ হোসেন খান, সামিয়া জাহান, মিজানুর রহমান, নাজমুস সাকিব, হোসাইন আহম্মদ, ইয়াসির মাহমুদ, হাসমত আলী, মাহমুদুল আহসান, মুনতাসির আহমদ, আরফাতুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ইমরান হোসাইন, ওমর ফারুক, জেসমিন ইসলাম তাপসী ও মোহাম্মদ আবদুর রহমান মাহদি।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সায়মা আক্তার, মো. খায়রুজ্জামান, মোসা. ফাহিমা সুমাইয়া, মো. ইশরেকাত হাসান ইমন, মাহমুদা আক্তার ও শান্তা আক্তার।

উর্দু বিভাগের সৈয়দা জাসিয়া আলী, মোসা. আলপনা আক্তার, মো. আবু সাজিদ, নাকিবা আজিম ও মো. হাবিবুল্লাহ মুসকান।

সংস্কৃত বিভাগের অনিক চন্দ্র বিশ্বাস, মধু কুমার রায়, উম্মে তামান্না সুলতানা কুয়াশা, সুমি রাণী দাস ও তমা রাণী সরকার।

পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের পিয়া দাস, অধিবাসী রায়, তানজিলা আক্তার ও প্রতিভা চাকমা।

ইতিহাস বিভাগের মো. হাসাইবুর রহমান, সোনিয়া আক্তার, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান, আবু তৈয়ব, সৌরভ মিয়া, অনন্যা আক্তার, তাসনিম মোস্তফা, পূজা দাস, ফারজানা পারভিন, সুষ্মিতা বাড়ৈ, অর্জুনা আক্তার, সুরাইয়া ইয়াসমিন সূচনা ও রূপম রোদ্দর।

দর্শন বিভাগের সানজিদা ইমু, তামান্না খাতুন, শায়লা ইসলাম নিপা ও মো. ইমরান হোসাইন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাঈদ নাকিব, মো. হাসান তারেক খান, মো. মাজহারুল ইসলাম, রাকিজাতুল জান্নাত, কাজী নাঈম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ জায়েদ, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. আমির ফয়সাল, মো. আহমদ্দুল্লাহ, উম্মে কুলসুম, তাসলিমা আক্তার অণু, জাকিয়া খাতুন, নাসরিন আক্তার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন সাব্বির এবং মো. নুর আলম, খায়রুন নেসা।

আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণে মানতে হবে ৯টি নিয়ম১৪ অক্টোবর ২০২৫২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মা হলেন পরিণীতি চোপড়া
  • ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চের আগুনের ভিডিওটি ২০২৩ সালের
  • স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি গোপনে দেখবে ফেসবুক, কেন
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
  • দেশে পাঁচ বছরে এসইউভির বিক্রি বেড়ে দ্বিগুণ
  • ৭ মাসের গর্ভবতী অ্যাথলেট ১০ কিলোমিটার দৌড়িয়ে আলোচনায়