শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় দিনে ২০ ঘণ্টা শুটিং করেছি: জ্যাকলিন
Published: 14th, January 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটে এ অভিনেত্রীর নাম ওঠার তার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। ফলে, অনেক কাজও হারিয়েছেন। গত বছর হলিউডের একটি সিনেমায় দেখা গেলেও বলিউডের কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি।
গত বছরের ৮ মার্চ মুক্তি পায় শ্রেয়া ঘোষাল ও ফ্রান্সের সংগীতশিল্পী টাইকের গাওয়া ‘ইয়ামি ইয়ামি’ গান। এ গানের ভিডিওতে পারফর্ম করেন জ্যাকলিন। গানটিতে এই অভিনেত্রীর পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে ভক্তদের। গানটি মুক্তির পর কেটে গেছে ১০ মাস। এখন পর্যন্ত এর ভিউ দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি বারের বেশি।
‘ইয়ামি ইয়ামি’ গান নিয়ে কথা বলেছেন জ্যাকলিন। এ অভিনেত্রী বলেন, “আমি বাছাই করেই গানগুলো হাতে নিই। ‘ইয়ামি ইয়ামি’ গানে যখন আমাকে উপস্থাপন করা হয়, তখন আমি জানতাম গানটির সঙ্গে সঠিক বিচারই করতে পারব। শ্রেয়া ঘোষাল গানের কথার সঙ্গে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। টাইক একজন অসাধারণ শিল্পী। সত্যিই তিনি প্রাণবন্তভাবে গানটির সংগীত তৈরি করেছেন। কোরিওগ্রাফি করেছিলেন শাজিয়া পীযূষ। এটি এমন কিছু ছিল না, যা করতে সত্যিই অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু আমি নিজের পুরোটা দিয়েছিলাম এবং সত্যি এটি দারুণ হয়েছিল।”
শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে জ্যাকলিন বলেন, “আমরা জিরো ডিগ্রি তাপমাত্রায় দিনে ২০ ঘণ্টা শুটিং করেছিলাম। যদিও এটি অনেক কষ্টের ছিল। কিন্তু আমরা সবাই জানতাম, এই প্রচেষ্টার যোগ্য ফল পাব।”
জ্যাকলিন ও তার টিম সত্যি পরিশ্রমের ভালো ফল পেয়েছেন। তাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা বিশ্বের দর্শকদের মন জয় করেছে। তাই গানটি নিয়ে গর্বিত জ্যাকলিন। এ অভিনেত্রী বলেন, “এখন পর্যন্ত আমার প্রিয় গানগুলোর মধ্যে এটি একটি।”
জ্যাকলিন অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন সিনেমা ‘ফাতেহ’। ৫০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা পরিচালনা করছেন অভিনেতা সোনু সুদ। নির্মাণের পাশাপাশি জ্যাকলিনের বিপরীতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। গত ১০ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে জ্যাকলিনের হাতে সিনেমার কাজ রয়েছে। এগুলো হলো— ‘ওয়েলকাল টু দ্য জঙ্গল’, ‘হাউজফুল ফাইভ’।
তথ্যসূত্র: স্পটবয়
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।
এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স— ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।
আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগেভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।
ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।
তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল