বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটে এ অভিনেত্রীর নাম ওঠার তার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। ফলে, অনেক কাজও হারিয়েছেন। গত বছর হলিউডের একটি সিনেমায় দেখা গেলেও বলিউডের কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি।

গত বছরের ৮ মার্চ মুক্তি পায় শ্রেয়া ঘোষাল ও ফ্রান্সের সংগীতশিল্পী টাইকের গাওয়া ‘ইয়ামি ইয়ামি’ গান। এ গানের ভিডিওতে পারফর্ম করেন জ্যাকলিন। গানটিতে এই অভিনেত্রীর পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে ভক্তদের। গানটি মুক্তির পর কেটে গেছে ১০ মাস। এখন পর্যন্ত এর ভিউ দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি বারের বেশি।

‘ইয়ামি ইয়ামি’ গান নিয়ে কথা বলেছেন জ্যাকলিন। এ অভিনেত্রী বলেন, “আমি বাছাই করেই গানগুলো হাতে নিই। ‘ইয়ামি ইয়ামি’ গানে যখন আমাকে উপস্থাপন করা হয়, তখন আমি জানতাম গানটির সঙ্গে সঠিক বিচারই করতে পারব। শ্রেয়া ঘোষাল গানের কথার সঙ্গে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। টাইক একজন অসাধারণ শিল্পী। সত্যিই তিনি প্রাণবন্তভাবে গানটির সংগীত তৈরি করেছেন। কোরিওগ্রাফি করেছিলেন শাজিয়া পীযূষ। এটি এমন কিছু ছিল না, যা করতে সত্যিই অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু আমি নিজের পুরোটা দিয়েছিলাম এবং সত্যি এটি দারুণ হয়েছিল।”

শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে জ্যাকলিন বলেন, “আমরা জিরো ডিগ্রি তাপমাত্রায় দিনে ২০ ঘণ্টা শুটিং করেছিলাম। যদিও এটি অনেক কষ্টের ছিল। কিন্তু আমরা সবাই জানতাম, এই প্রচেষ্টার যোগ্য ফল পাব।”
 
জ্যাকলিন ও তার টিম সত্যি পরিশ্রমের ভালো ফল পেয়েছেন। তাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা বিশ্বের দর্শকদের মন জয় করেছে। তাই গানটি নিয়ে গর্বিত জ্যাকলিন। এ অভিনেত্রী বলেন, “এখন পর্যন্ত আমার প্রিয় গানগুলোর মধ্যে এটি একটি।”

জ্যাকলিন অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন সিনেমা ‘ফাতেহ’। ৫০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা পরিচালনা করছেন অভিনেতা সোনু সুদ। নির্মাণের পাশাপাশি জ্যাকলিনের বিপরীতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। গত ১০ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে জ্যাকলিনের হাতে সিনেমার কাজ রয়েছে। এগুলো হলো— ‘ওয়েলকাল টু দ্য জঙ্গল’, ‘হাউজফুল ফাইভ’।

তথ্যসূত্র: স্পটবয়

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়

অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।

তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।

প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।

তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।

এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।

তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।

চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।

এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।

২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।

এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।

অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন অধিনায়ক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তামিমের
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • ব্রাজিলে আলোকাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • ব্রাজিলে আলো কাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির 
  • কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি, অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ