চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী প্রকাশনা উৎসব শুরু হয়েছে। সংগঠনটির পরিচিতি ও আদর্শকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ উৎসব শুরু হয়।  চলবে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ প্রকাশনা উৎসব।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, প্রকাশনা উৎসবে মোট পাঁচটি স্টলে ২ শতাধিক প্রকাশনা স্থান পেয়েছে। স্টলগুলোতে শিবিরের বিভিন্ন বইয়ের পাশাপাশি স্টিকার, লিফলেট, ক্যালেন্ডার ও জুলাই আন্দোলন বিষয়ক ম্যাগাজিন রয়েছে। 

প্রকাশনা উৎসবে আসা শিক্ষার্থী মো.

রাকিব বলেন, “ফ্যাসিজম পরবর্তী সময় বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের শিক্ষা, বুদ্ধিভিত্তিক ও ক্যারিয়ারমূলক কার্যক্রম আয়োজন করছে, তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। বাংলাদেশের সব ছাত্র সংগঠনগুলোর উচিত এ ধরনের প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা।”

তিনি বলেন, “গত ১৬ বছর ট্যাগিং, ব্লেমিং এবং মাইনাস ফরমুলার যে রাজনীতি ছিল, তাতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিবির সম্পর্কে জানার কোন সুযোগ পায়নি। ছাত্র সংগঠনগুলো যদি এমন বুদ্ধিভিত্তিক উদ্যোগগুলো গ্রহণ করে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠন সম্পর্কে জানতে পারবে। যেটা গণতান্ত্রিক চর্চা বুদ্ধিভিত্তিক আন্দোলন ও আগামী দিনের রাজনীতিতে সুফল বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস।

এ বিষয়ে চবি ছাত্রশিবিরের স্কুল সম্পাদক ইয়াছিন মো. মুজতাহিদ বলেন, “মেধাবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির। আমাদের কাজ হচ্ছে, শিক্ষার মাধ্যমে সবার মাঝে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেওয়া। আমরা দীর্ঘ ১ যুগ পর চবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে নববর্ষ প্রকাশনা প্রোগ্রাম করতে পেরেছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে আমরা এমন প্রোগ্রাম কখনও করতে পারিনি।”

তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্কে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা গুজব ছড়ানো হয়েছে। শিবির সম্পর্কে সঠিক তথ্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের জানতে দেওয়া হয়নি। শিবিরের দাওয়াত সবার কাছে পৌঁছে দিতেই আমাদের এ আয়োজন।”

চবি শিবিরের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হারেছ মাতব্বর বলেন, “ফ্যাসিস্ট পরবর্তী সময়ে আমাদের সংগঠনের কাজগুলো সুন্দরভাবে করতে পারছি। আশা করি, এ নববর্ষ প্রকাশনা প্রোগ্রামের মাধ্যমে দাওয়াতের কার্যক্রম সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারব। আমাদের নামে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার যে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়েছে, আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে পারব।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাণের গানে সালাহর উৎসব

শেষ বাঁশি বাজতেই নেচে-গেয়ে উৎসবে মাতেন সালাহ-অ্যালিসন-এলিস্টাররা। তবে পর্বটা খুব বেশি লম্বা হয়নি। অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক সবাইকে ডেকে মাঠের একটি গোলপোস্টের সামনে জড়ো করেন। আর্নে স্লটের নেতৃত্বে কোচিং স্টাফরাও যোগ দেন সেখানে। গ্যালারি সামনে রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেইনের মতো করে সারিবদ্ধভাবে দেয়াল বানিয়ে দাঁড়ান সবাই। পুরো এনফিল্ড তখন সমবেত কণ্ঠে গাইতে শুরু করে– You’ll Never Walk Alone...। অলরেডদের হৃদয় থেকে উৎসারিত এ গানেই পূর্ণতা পায় উৎসব।

এ গানের সঙ্গে সঙ্গে অন্য রকম এক আবহ তৈরি হয় সেখানে। বিশ্বের কোনো স্টেডিয়াম ছুঁতে পারবে না এনফিল্ডের এই আবহ। এই আবহ তৈরি অলরেডদের বিশ্বাসে, বছরের পর বছর যারা কেউ কাউকে একা হাঁটতে দেয়নি। রোববার সকাল থেকেই এনফিল্ডের চারপাশে তৈরি হয়েছিল উৎসবের পরিবেশ। আতশবাজি ও লাল আবিরে রঙিন হয়ে উঠেছিল লিভারপুলের আকাশ-বাতাস। আগে থেকেই বন্দর শহরটির দেয়ালে দেয়ালে ঐতিহাসিক গানটির সঙ্গে ‘২০’ লেখা গ্রাফিতি আঁকা শুরু হয়ে গিয়েছিল। 

ম্যাচ শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই এনফিল্ড চত্বর রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আর্নে স্লট, সালাহদের স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। লাল জার্সি পরা কাতারে কাতারে সমর্থকদের মাঝখান দিয়ে লাল বাসে করে লিভারপুলের ফুটবলাররা স্টেডিয়ামের আঙিনায় প্রবেশ করেন অন্যরকম এক পরিবেশে। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর ৩০ বছর ট্রফি জেতেনি তারা। পাঁচ বছর আগে ট্রফি জিতলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উদযাপন হয়েছিল দর্শকশূন্য গ্যালারিতে। তাই এমন অনেক সমর্থক আছেন, যারা প্রিয় ক্লাবকে লিগ জিততে দেখেননি। সেই তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাসটা ছিল বেশি। 

২০তম শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব আর্নে স্লট দিয়েছেন সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে। এমনকি তিনি সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে পুরো গ্যালারিকে নিয়ে ক্লপের নামে গানও গেয়েছেন। ২০১৫ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর ক্লপ তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন ক্লাবটিকে। এর মধ্যে দুবার অবিশ্বাস্য লড়াই করেও মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে ম্যানসিটির কাছে শিরোপা হারাতে হয়েছিল তাদের। ২০২০ সালে জিতলেও সমর্থকদের নিয়ে উল্লাস করতে পারেননি।

ক্লপের লিগজয়ী দলের সদস্য ছিলেন মোহামেদ সালাহ। এবার ভিন্ন স্বাদ পেয়েছেন মিসরীয় এ তারকা। শিরোপা জয়ের পর স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শিরোপা জয়ের অনুভূতি অবিশ্বাস্য। গতবারের (২০২০) চেয়ে এবার শতভাগ ভালো ছিল। এটা অনেক বেশি আনন্দময়। এটা সত্যিই বিশেষ কিছু।’ 

প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ জেতা আর্জেন্টাইন তারকা এলেক্সিস ম্যাক এলিস্টারের জন্যও এ শিরোপা বিশেষ কিছু, ‘বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, এখন জিতেছি প্রিমিয়ার লিগ। আমার জন্য সত্যই এটা বিশেষ কিছু। সতীর্থদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। আমাদের দলটি সত্যিই অসাধারণ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র
  • জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
  • সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩
  • ঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর নিন্দা
  • চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
  • বিশ্বের বড় বড় উৎসব কোথায় হয়
  • প্রাগে পুরস্কৃত ‘নট আ ফিকশন’,অনলাইনে মুক্তি ১ মে
  • প্রাণের গানে সালাহর উৎসব
  • ফসলের ক্ষেতে আশার আলো
  • কানে ‘আলী’, দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়