নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের আগেই বিধ্বস্ত আদানির তৈরি করা ড্রোন
Published: 15th, January 2025 GMT
ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আগেই গুজরাটের পোরবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছে আদানি ‘ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস’ নির্মিত ‘দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার’ ড্রোন। মঙ্গলবার হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
ইজ়রায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আদানি গ্রুপ এই ড্রোন তৈরি করেছিল। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই স্বয়ংক্রিয় ড্রোন তৈরি করা হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের পাশাপাশি আকাশপথে নজরদারি চালাতে বিশেষ ভাবে উপযোগী এই যন্ত্র। প্রতিটি ড্রোনের জন্য খরচ পড়েছে ১৪৫ কোটি রুপি।
‘প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার ড্রোন কেনা নিয়ে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো প্রশ্ন তুলেছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড এবং ভারত ডায়নামিক্স ড্রোন তৈরি করতে সক্ষম হলেও তাদের বাদ দিয়ে আদানিকে ড্রোন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হল তা নিয়ে সরব হন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছিলেন, আদানি গোষ্ঠী ইজ়রায়েল থেকে চারটি ‘হার্মিস-৯০০’ ড্রোনের যন্ত্রাংশ আমদানি করে। আর তা জুড়ে দিয়ে সেই ড্রোনের নাম ‘দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনার’ রেখেছে। তারা শুধু ড্রোনের এয়ারফ্রেম তৈরি করেছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সামুদ্রিক অভিযানে যুক্ত হতে ড্রোনটিকে হায়দারাবাদ থেকে পোরবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের আগে পরীক্ষামূলক উড়ানের সময় এটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত ড্রোনটি উদ্ধার করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। বিষয়টি সম্পর্কে এখনও কোনও বিবৃতি জারি করেনি আদানি গ্রুপ।
উপকূলে নজরদারি বৃদ্ধিতে এই ড্রোনটি নৌবাহিনীর বিশেষ সম্পদ হয়ে উঠতে পারে বলে আশা করা হয়েছিল। নৌবাহিনীর হাতে এই ড্রোন আসলে সমুদ্রে শত্রুপক্ষের জাহাজ বা জলদস্যুদের জলযানে নজরদারি করতে সুবিধা হবে। যেকোনো পরিবেশে কার্যকর এই ড্রোন, ঝড়-ঝঞ্ঝা সইতেও সক্ষম বলে দাবি করেছিল প্রস্তুতকারক সংস্থা।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়ার পক্ষে দেড় হাজার আফ্রিকান যুদ্ধ করছে: ইউক্রেনের দাবি
আফ্রিকার ৩৬টি দেশের ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সাইবিহা এই দাবি করেছেন। তিনি আফ্রিকার সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যাতে তাদের নাগরিকদের এ যুদ্ধে যোগ না দিতে সতর্ক করে।
গতকাল শুক্রবার আন্দ্রেই সাইবিহা অভিযোগ করেন, রাশিয়া আফ্রিকার নাগরিকদের যুদ্ধে অংশ নিতে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরে প্রলুব্ধ করছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে বিদেশি নাগরিকদের ভাগ্য মর্মান্তিক। তাঁদের অধিকাংশ ব্যক্তিকে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই সম্মুখ সমরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যেখানে তাঁরা খুব দ্রুতই মারা পড়ছেন। তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ ভাড়াটে সেনা এক মাসের বেশি বাঁচেন না।
রাশিয়া বিভিন্ন পদ্ধতিতে আফ্রিকার দেশগুলোর নাগরিকদের যুদ্ধে মোতায়েন করছে। কাউকে অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বুঝতেই পারছেন না, তাঁরা কিসে স্বাক্ষর করছেন। আবার কাউকে সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর চুক্তিতে স্বাক্ষর করা মানেই মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করা।
ইতিমধ্যে আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সরকার স্বীকার করেছে, তাদের নাগরিকেরা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তাদের ১৭ জন নাগরিক কীভাবে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনীতে যোগ দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই নাগরিকেরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে সরকারের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।
কেনিয়াও গত মাসে জানিয়েছে, তাদের কিছু নাগরিককে রাশিয়ার সামরিক শিবিরে আটকে রেখে যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে।