মিরপুরে আগুনে নিহত ১৬ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর
Published: 20th, October 2025 GMT
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ১৬ জনের লাশ গতকাল রোববার রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিরপুরের রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, সিআইডির ফরেনসিক ল্যাব থেকে ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুনমিরপুরের রাসায়নিক গুদামে এখনো বিষাক্ত গ্যাস, ধোঁয়া অনেকটা কমেছে১৮ অক্টোবর ২০২৫গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে মরদেহ দাফন খরচ বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই সহায়তা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনগুদামে বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা ১৪৯ পিপিএম, মুহূর্তেই অচেতন হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি১৭ অক্টোবর ২০২৫প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার শিয়ালবাড়ির একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনশিয়ালবাড়িতে আগুন লাগার ৩ দিন পরও গুদাম থেকে বেরোচ্ছে ধোঁয়া১৭ অক্টোবর ২০২৫আরও পড়ুনমিরপুরে আগুনে ১৬ মৃত্যু: ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ এনে মামলা১৫ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে পাচারকারীর আস্তানা থেকে ৭ নারী-পুরুষ উদ্ধার, আটক ৩
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে পাচারকারীদের আস্তানা থেকে ৭ নারী-পুরুষকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে তাঁদের ওই আস্তানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। গতকাল রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাচারের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের আবদুর রহমান (৩২), হামিদ হোসেন (২৮) এবং পার্শ্ববর্তী বড় ডেইল গ্রামের হেলাল উদ্দীন (৩০)।
অভিযানের বিষয়ে আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কোস্টগার্ড। টেকনাফের কেরনতলীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর। তিনি বলেন, পুরুষদের চাকরি এবং নারীদের বিয়ের আশ্বাসে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য বাহারছড়ার ওই আস্তানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁদের আটকে রেখে টাকা আদায়ের চেষ্টা চলছিল। উদ্ধার হওয়া সবার বাড়ি উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং এলাকায়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, অভিযানে জব্দ হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এবং আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতেও সাগরপথে মানব পাচার রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।