যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বিপুল সম্পদ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি নিয়ে একটি গোষ্ঠীর শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। আমাদের মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। মার্কিনিদের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। 

প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর অভিষেকের পাঁচ দিন আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে এই ভাষণ দেন বাইডেন।

তিনি বলেন, মার্কিনিরা ভুল তথ্য, অপ তথ্যের নিচে চাপা পড়েছে। এতে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে।

ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও কথা বলেন বাইডেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি ক্ষমতাশালীরা তাঁদের অনিয়ন্ত্রিত প্রভাব খাঁটিয়ে সেগুলো নষ্ট করে দিতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুকে এর আগে তামাশা বলে মন্তব্য করেছিলেন।

বাইডেনের বিদায়ী ভাষণ ছিল ওভাল অফিস থেকে তার পঞ্চম এবং শেষ আনুষ্ঠানিক ভাষণ। বাইডেন সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি তাঁর পররাষ্ট্রনীতির রেকর্ড-এর প্রশংসা করেন।

ছয় মাস আগে ওভাল অফিস থেকে তাঁর আগের ভাষণে বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করেন এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২৪ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে অনুমোদন করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • বর্তমান সংকটে হবস, রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন যেখানে প্রাসঙ্গিক
  • ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি