৩০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়ির পথে চবি শিক্ষার্থী শুভ
Published: 16th, January 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম শুভ ইচ্ছেপূরণ করতে চট্টগ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। এজন্য তাকে পাড়ি দিতে হচ্ছে ৩০০ কিলোমিটার পথ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শরিফুল ইসলাম শুভ তার বর্তমান অবস্থান নারায়ণগঞ্জ বলে জানিয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম থেকে রওনা দেন এই শিক্ষার্থী।
শরিফুল ইসলাম শুভ গাজীপুর সদরের ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ডগরী গ্রামের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের (২০২১-২২) শিক্ষার্থী।
নতুন করে দেশ ভ্রমণের জন্য হাইকিং দিন দিন এ প্রজন্মের কাছে বেশ রোমাঞ্চকর বিষয় হয়ে উঠছে। শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তি আর মনোবল থেকেই যে শত শত কিলোমিটার পাড়ি দেওয়া যায়। পায়ে হেঁটে ৩০০ কিলোমিটার পথ চলা চ্যালেঞ্জিং এবং শক্ত মনোবল দরকার।
শরিফুল ইসলাম শুভ
শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, “প্রথমে ৩০০ কি.
তিনি আরও বলেন, “গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে হাঁটা শুরু করি এখন আমার অবস্থান নারায়ণগঞ্জে। প্ল্যান বলতে এই হাইকিং এ যদি সফল হই তবে আমার নেক্সট টার্গেট টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। আসলে এইভাবে কখনও হেঁটে এত পথ পাড়ি দেওয়া হয় নাই। তবে বাংলাদেশে একেক অঞ্চলের একেক সংস্কৃতি, ভাষা, আচার ব্যবহার খুবই উপভোগ করছি।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ (৩য় বর্ষ) শিক্ষার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক বলেন, “শুভ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোটভাই। পরিবেশ প্রকৃতি মানুষ ও আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রতি টান আছে তার। পথ প্রান্তর ঘুরে কাছ থেকে মানুষ ও তাদের জীবন যাপন দেখা সে উপভোগ করে। তার ৩০০ কিলো. পায়ে হেঁটে গাজীপুর যাত্রা বড় মানসিক শারীরিক সাহসের পরিচয়। এমন পায়ে হেঁটে যাত্রার মাধ্যমে মানুষের ধৈর্য্য সাহস সংযম বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা ও বিচিত্র অভিজ্ঞতার সুযোগ আছে। শুভ'র এই সাহসী সিদ্ধান্ত আমাদেরও উদ্বুদ্ধ করছে।”
ঢাকা/রেজাউল/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।