সমকাল : ব্র্যাক ব্যাংকের জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেল কেন গুরুত্বপূর্ণ?

নাজমুর রহিম : দেশের আর্থিক সেবার বাইরে থাকা মানুষ এবং সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবা প্রদানে এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের গুরুত্ব অনেক। দেশের বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর প্রচলিত ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও তাদের আর্থিক প্রয়োজন কিন্তু উপেক্ষা করা যায় না। এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের বেশির ভাগই সিএমএসএমই, রেমিট্যান্সগ্রহীতা, কৃষিঋণ সুবিধাভোগী এবং ব্যাংকিং লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন রিটেইল কাস্টমার। আনুষ্ঠানিকতা এবং অযাচিত ভয়ের কারণে এ ধরনের গ্রাহকদের মধ্যে ব্রাঞ্চে গিয়ে ব্যাংকিং করতে অপারগতা দেখা যায়। ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এ ধরনের সমস্যা কার্যকরভাবে দূর করে প্রান্তিক অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম।

সমকাল : বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আর্থসামাজিক প্রভাব কী?

নাজমুর রহিম : বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন (সেপ্টেম্বর ২০২৪) অনুযায়ী, দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খোলা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২ কোটি ৩৪ লাখ, যার ৫০ শতাংশই নারী গ্রাহক। আবার এই চ্যানেলের মোট অ্যাকাউন্টের ২ কোটি ২ হাজার অ্যাকাউন্টই গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকদের। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া মোট আমানতের পরিমাণ ৩৯ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা। দেশের ২৩টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করেছে, যার পরিমাণ ২১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও এজেন্টদের মাধ্যমে বিতরণ করা ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। লক্ষণীয়, এই বিষয়গুলো কেবল এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের কারণেই সহজতর হয়েছে।
আর্থিক খাতে এই উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পরিচায়ক। আর্থিক সেবা নিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং ইতোমধ্যে আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে গেছে, যাদের মধ্যে রয়েছে রেমিট্যান্স সুবিধাভোগী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গ্রামীণ মানুষ।

সমকাল : ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেল অন্যান্য ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে কীভাবে ব্যতিক্রম?

নাজমুর রহিম : অন্যান্য ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের চেয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যতিক্রমী হওয়ার প্রধান একটি কারণ হলো, আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ফোকাস মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর। সঠিক এজেন্ট নির্বাচন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবার অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ও টেকসইতাকে অগ্রাধিকার। ব্র্যাক ব্যাংক সঠিক এজেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এটিই আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সাফল্যের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এজেন্ট নির্বাচনের পর আমরা তাদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকি, যাতে তারা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃক আরোপিত নিয়মকানুন-আইন যথাযথভাবে মেনে চলে। এর ফলে এজেন্টরা শুদ্ধাচার বজায় রেখে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। উন্নত প্রযুক্তি-সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং ইকোসিস্টেমে নতুন নতুন সেবা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ব্যাংকিং প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করে যাচ্ছে। এর ফলে এজেন্টরা গ্রাহকদের বিশেষ করে আর্থিক সেবার বাইরে থাকা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বহুমুখী ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে, যা দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিকাশে ব্যাপকভাবে অবদান রাখছে।
গ্রাহক আমানতের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্টরা যাতে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করে যেতে পারে, সে বিষয়ে সহায়তা দিয়ে থাকে। আমাদের এমন অগ্রাধিকারের কারণে এজেন্টরা গ্রাহকদের আরও উন্নত ব্যাংকিং সেবা দিতে এবং গ্রামীণ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বেশি অনুপ্রাণিত হয়। এই সামগ্রিক কৌশলই ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংকে অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে। এভাবে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং প্রান্তিক অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবাকে সহজলভ্য ও উন্নত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। 

সমকাল : এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আপনারা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, আর্থিক সাক্ষরতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে কী কী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন?

নাজমুর রহিম : ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষদের জন্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিকাশ ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মোট আউটলেটের ৮০ শতাংশই গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত। এর ফলে আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত হচ্ছে। শুরু থেকেই এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক ঋণ বিতরণ এবং ঋণ আদায় করে আসছে। আমাদের বিতরণকৃত মোট ঋণের ৬৫ শতাংশই এই চ্যানেলের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। রেমিট্যান্স সুবিধাভোগীর হাতে রেমিট্যান্সের অর্থ তুলে দেওয়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং সেবা। এই সুবিধাভোগীদের অধিকাংশই নারী, যারা আগে ফরমাল ব্যাংকিং চ্যানেল এড়িয়ে চলতেন। আর্থিক সাক্ষরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং দেশব্যাপী ১৭৫টি ‘উঠান বৈঠক’-এর সফল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। দেশে নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের ব্যাংকের প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ বিখ্যাত ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ থেকে আমরা অর্জন করেছি বিশেষ অনুদান।
আর্থিক খাতে জেন্ডার-ইনক্লুসিভিটির প্রসারেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নারী গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা নারী এজেন্ট বাড়াতেও কাজ করছি। আমাদের রয়েছে ৮৭ জন নারী এজেন্ট। এই হার আমরা প্রতিনিয়ত বাড়াচ্ছি। প্রতিটি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে যেন অন্তত একজন নারীকর্মী থাকেন, সে বিষয়টিও আমরা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। এর ফলে প্রান্তিক অঞ্চলের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে এবং নারী গ্রাহক সংখ্যাও বাড়ছে।

সমকাল : এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ডিপোজিট ও অ্যাসেট মোবিলাইজেশন, এসএমই ঋণ এবং রেমিট্যান্সে আপনারা কী ধরনের সাফল্য পেয়েছেন?

নাজমুর রহিম : ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৮৯ শতাংশ উপজেলায় ১ হাজার ১০৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট চালু করেছে। এই বিশাল নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি গ্রাহকের ৪ লাখ ৭২ হাজার ৬৯০টি সক্রিয় অ্যাকাউন্ট। আমাদের ডিপোজিট পোর্টফোলিওর পরিমাণ ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা এবং এই চ্যানেলের মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা এবং আদায়কৃত টাকার পরিমাণ ২০ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। এ ছাড়াও এই চ্যানেলের মাধ্যমে বিতরণকৃত ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা, যা ব্যাংকের ব্রাঞ্চ চ্যানেলের মাধ্যমে বিরতরণকৃত রেমিট্যান্সের চেয়েও বেশি।

সমকাল : এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের উন্নয়নে প্রযুক্তি কীভাবে ভূমিকা রাখছে? এজেন্ট ব্যাংকিং নিয়ে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

নাজমুর রহিম : প্রযুক্তি হলো এজেন্ট ব্যাংকিং সক্ষমতার একটি প্রধান স্তম্ভ, যা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে অপরিহার্য। ব্যাংকিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা একটি এজেন্ট ব্যাংকিং সিস্টেম (এবিএস) প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করি, যা প্রচলিত কোর ব্যাংকিং সিস্টেমের (সিবিএস) চেয়ে সহজ ও নিরাপদ। ব্যাংকিং নিয়ে যেহেতু এজেন্টদের জ্ঞানের পরিধি সীমিত, সে জন্য আমরা লেনদেনে অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন’-এর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিই। এ ছাড়াও এজেন্ট আউটলেটে অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধে আমরা টিপিন ব্যবহার এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ বজায় রাখি।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লক্ষ্য হলো, গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। দেশের প্রতিটি এলাকায় গ্রাহকদের জন্য বিস্তৃত ব্যাংকিং সেবা নিয়ে পৌঁছে যাওয়া ব্র্যাক ব্যাংকের লক্ষ্য। পারসোনাল এবং এসএমই ঋণ বিতরণসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট, বিল পেমেন্ট এবং এনজিও, এমএফআই ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে পার্টনারশিপে এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেল বিশেষভাবে কার্যকর। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বিনিময়’ প্ল্যাটফর্মের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে এজেন্ট ব্যাংকিং আরও বেশি কার্যকারিতা ও সক্ষমতা অর্জন করবে। এ ক্ষেত্রে এজেন্টের সক্ষমতাও বাড়বে এবং গ্রাহকরাও আরও বেশি ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই চ য ন ল র ম ন শ চ ত কর আর থ ক স ব জনগ ষ ঠ র গ র হকদ র র পর ম ণ দ র জন য আউটল ট র আর থ ক জ কর ব তরণ সমক ল ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ