আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এখন জামায়াতের সভাপতি
Published: 17th, January 2025 GMT
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতা জামায়াতে যোগ দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। মজিদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. আবু হানিফ। তিনি এখন ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি।
বৃহস্পতিবার জানাজানি হয় আবু হানিফ জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। আজ শনিবার এই ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন হবে। সম্মেলনের জন্য ছাপানো পোস্টারে আবু হানিফের নাম এবং জামায়াতের পদবি লেখা থাকায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে দলবদলের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।
আবু হানিফ মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁকে জামায়াতের সভাপতি করা হয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মেম্বার হওয়ার আগে থেকেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমলে মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়ার্ডে অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য এই দলের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হতে বাধ্য হয়েছি।’
আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলটির নেতারা পলাতক থাকায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারিনি। তবে শিগগিরই দেবো।’ তিতাস উপজেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শামীম সরকার বলেন, যৌক্তিক কারণেই আবু হানিফকে ওয়ার্ড সভাপতি করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা উত্তর জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, ‘আবু হানিফ মেম্বার হওয়ার ১০ বছর আগে থেকে জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত। ইউপি সদস্য হওয়ার পর জোর করে তাঁকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে। তিনি আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ জ ম য় ত ইসল ম হওয় র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক