কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতা জামায়াতে যোগ দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। মজিদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. আবু হানিফ। তিনি এখন ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি। 

বৃহস্পতিবার জানাজানি হয় আবু হানিফ জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। আজ শনিবার এই ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন হবে। সম্মেলনের জন্য ছাপানো পোস্টারে আবু হানিফের নাম এবং জামায়াতের পদবি লেখা থাকায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে দলবদলের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।

আবু হানিফ মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁকে জামায়াতের সভাপতি করা হয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মেম্বার হওয়ার আগে থেকেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমলে মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়ার্ডে অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য এই দলের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হতে বাধ্য হয়েছি।’ 

আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলটির নেতারা পলাতক থাকায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারিনি। তবে শিগগিরই দেবো।’ তিতাস উপজেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শামীম সরকার বলেন, যৌক্তিক কারণেই আবু হানিফকে ওয়ার্ড সভাপতি করা হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা উত্তর জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, ‘আবু হানিফ মেম্বার হওয়ার ১০ বছর আগে থেকে জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত। ইউপি সদস্য হওয়ার পর জোর করে তাঁকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে। তিনি আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ জ ম য় ত ইসল ম হওয় র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ