বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, এই গণঅভ্যুথানে ছাত্র-জনতা ছিলেন। যারা থাকতে পারে নাই তারা ঘরে বসে দোয়া করেছে। আল্লাহ অধিকাংশ মানুষের দোয়া কবুল করেছেন। আন্দোলনে স্বৈরাচার শুধু পতন হয়নি, স্বৈরাচার প্রান ভয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। 

মানুষের কাছে বিএনপি এখন অনেক বড় আশা ভরসার জায়গা তৈরী হয়েছে। দেশকে লুটপাট করে, মানুষের উপর অত্যাচার করে স্বৈরাচার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আইনের শাসন, মানুষের মৌলিক অধিকার, দেশের অর্থনীতিতে ধ্বংস করে গেছে। এই অবস্থায় বিএনপি মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে ফতুল্লা মাহমুদ পুর এলাকায় কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, আমরা মানুষের এই ধরণের অত্যাচারকে উপলব্ধি করে কাজ করছি, স্বৈরাচারের ধ্বংস করা এই দেশকে কিভাবে পুণঃউদ্ধার করা যায়। আমরা এখন ক্ষমতায় নেই, বর্তমানে সরকার ক্ষমতায় আছে অন্তর্বর্তী কালীন সরকার। এই সরকার যাতে সফল হয় তার জন্য আমরা তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। স্বৈরাচার পতন হওয়ার পর বিদেশে থেকে অনেক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও নজরুল ইসলাম মেম্বারের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এড্যাঃ আব্দুল বারী ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী, যুগ্ম-সম্পাদক এ্যাডঃ খন্দকার আক্তার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এস,এম,আসলাম, এ্যাডঃ মাসুদুজ্জান মন্টু,সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, এনায়েত ইউনিয়ান বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, মহানগর যুবদলের সদস্য শহীদুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল নেতা শাহজালাল কালু, কুতুবপুর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও আবু জাফর প্রমূখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ