বিএনপি মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে : গিয়াসউদ্দিন
Published: 17th, January 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, এই গণঅভ্যুথানে ছাত্র-জনতা ছিলেন। যারা থাকতে পারে নাই তারা ঘরে বসে দোয়া করেছে। আল্লাহ অধিকাংশ মানুষের দোয়া কবুল করেছেন। আন্দোলনে স্বৈরাচার শুধু পতন হয়নি, স্বৈরাচার প্রান ভয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মানুষের কাছে বিএনপি এখন অনেক বড় আশা ভরসার জায়গা তৈরী হয়েছে। দেশকে লুটপাট করে, মানুষের উপর অত্যাচার করে স্বৈরাচার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আইনের শাসন, মানুষের মৌলিক অধিকার, দেশের অর্থনীতিতে ধ্বংস করে গেছে। এই অবস্থায় বিএনপি মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে ফতুল্লা মাহমুদ পুর এলাকায় কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, আমরা মানুষের এই ধরণের অত্যাচারকে উপলব্ধি করে কাজ করছি, স্বৈরাচারের ধ্বংস করা এই দেশকে কিভাবে পুণঃউদ্ধার করা যায়। আমরা এখন ক্ষমতায় নেই, বর্তমানে সরকার ক্ষমতায় আছে অন্তর্বর্তী কালীন সরকার। এই সরকার যাতে সফল হয় তার জন্য আমরা তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। স্বৈরাচার পতন হওয়ার পর বিদেশে থেকে অনেক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও নজরুল ইসলাম মেম্বারের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এড্যাঃ আব্দুল বারী ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী, যুগ্ম-সম্পাদক এ্যাডঃ খন্দকার আক্তার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এস,এম,আসলাম, এ্যাডঃ মাসুদুজ্জান মন্টু,সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, এনায়েত ইউনিয়ান বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, মহানগর যুবদলের সদস্য শহীদুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল নেতা শাহজালাল কালু, কুতুবপুর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও আবু জাফর প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’
সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি বরাবর অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।