Samakal:
2025-07-31@22:40:08 GMT

একটি খাল খননে ১১ বছর

Published: 18th, January 2025 GMT

একটি খাল খননে ১১ বছর

বিশ্বে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুয়েজ ও পানামা খাল। ১৫০ বছর আগে ১৬৪ কিলোমিটার সুয়েজ খাল খনন করতে সময় লেগেছে মাত্র ১০ বছর। বিশ্ব রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ পানামা খালও খনন করতে সময় লেগেছে ১০ বছর। এটি ১২০ বছর আগে খনন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অথচ সাড়ে ১০ বছরে মাত্র তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি খাল খনন করতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এতে সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, প্রতিদিন আড়াই ফুট করে খাল খনন করলেও, খালটির খনন ১০ বছরে শেষ হওয়ার কথা। 
সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অনুমোদনের ১০ বছর সাত মাস পর খালটির খননকাজ এগিয়েছে ৮০ শতাংশ। ২ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার খালের মধ্যে দুই কিলোমিটার খনন শেষ হয়েছে। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দাবি, শুরুতে অপর্যাপ্ত বরাদ্দ, ভূমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা ও মামলাসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দেরি হয়েছে। তারা প্রকল্পটি ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার প্রত্যাশা করছেন।  
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯৯৫ সালে প্রণীত ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানে তিনটি নতুন খাল খননের সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে বহদ্দারহাটের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন ছিল একটি। মাস্টারপ্ল্যানে থাকা এই খালটি খননের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। খালটি খননের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব কর্মসূচি (ডিপিপি) তৈরি করে ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে নগরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা তৈরি হলে ওই বছরের ২৪ জুন জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বহদ্দারহাটের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের জুনে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এ সময়ে কাজই শুরু করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করতে না পারায় ব্যয় বেড়েছে পাঁচগুণ। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন দেয় একনেক। তিন দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদ ধরা হয়। এই সময়েও প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এখন ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হয়ে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট প্রস্থ। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। প্রকল্পটির ১৫ দশমিক ১৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ হয়েছে। সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার প্রতিরোধ দেয়ালের মধ্যে ৫ কিলোমিটার, সাড়ে ৫ কিলোমিটার ড্রেনের মধ্যে চার কিলোমিটার, ৯টি ব্রিজের মধ্যে ছয়টি, ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৩ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ও ২ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার খালের মধ্যে ২ কিলোমিটার খাল খননকাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের দশমিক ৫০ কিলোমিটার প্রতিরোধ দেয়াল, ১ দশমিক ১ কিলোমিটার ড্রেন, তিনটি সেতু, ২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ ও দশমিক ৯৩ কিলোমিটার খাল খননকাজ বাকি আছে। খালটির ওয়াইজরপাড়া, বলিরহাট এবং নূর নগর হাউজিং থেকে বারইপাড়া হাইজ্জারপুল পর্যন্ত খাল খননকাজ বাকি রয়েছে। 
নগরের বহদ্দারহাট বারইপাড়া হাইজ্জারপুল থেকে শুরু হয়ে খালটি নূর নগর হাউজিং, ওয়াইজরপাড়া, বলিরহাটের বলি মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশবে। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, খাল খনন শেষ হলে পূর্ব-পশ্চিম ও দক্ষিণ শুলকবহর, চান্দগাঁও, নাসিরাবাদ, মোহরা, পূর্ব ও পশ্চিম ষোলশহর, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ও চাক্তাই সংলগ্ন এলাকার মোট আটটি ওয়ার্ডের ১০ লাখ বাসিন্দা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে বলে তাদের প্রত্যাশা। 
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৪ সালে প্রকল্পের অনুমোদন হলেও প্রকল্পটির মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে মূলত ২০২২ সালে। সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.

ফরহাদুল আলম প্রকল্পটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রকল্পটির গতি পায়। 
প্রকৌশলী মো. ফরহাদুল আলম বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অর্থছাড় হচ্ছে না। মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতার কারণে খাল খননকাজ দীর্ঘায়িত হয়েছে। আশা করছি, ২০২৬ সালের মধ্যে খাল খননকাজ শেষ হবে।’
বহদ্দারহাট বারইপাড়া এলাকার শিক্ষক আবদুর রহিম বলেন, ‘একটি খাল খননে ১১ বছর লাগা আজব ব্যাপার। শুধু খাল খনন নয়, সিটি করপোরেশনের সব কাজই হয় কচ্ছপগতিতে। এতে সময় আর টাকার অপচয় হয়।’
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প র খ ল খনন ১০ বছর শ ষ হয় দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

সকালের সবচেয়ে বরকতময় সময় ব্যবহারের ৭ কৌশল

সকাল মানুষের জীবনের একটি মূল্যবান সময়, যা দিনের বাকি অংশের জন্য সুর নির্ধারণ করে। সকাল আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার, শরীর ও মনকে প্রস্তুত করার এবং দিনের লক্ষ্য অর্জনের একটি সুবর্ণ সুযোগ।

সামাজিক মাধ্যম, কাজের চাপ এবং পারিবারিক দায়িত্ব আমাদের অনেক সময় কেড়ে নেয়, তাই সকালকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে আমরা জীবনকে আরও উৎপাদনশীল করতে পারি।

১. আল্লাহর সঙ্গে দিনের শুরু

ফজরের নামাজের ১৫-২০ মিনিট আগে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এবং দোয়া করা জীবনকে আমূল বদলে দিতে পারে। এই সময়টি শান্ত ও পবিত্র, যখন আল্লাহর সঙ্গে কোনো বাধা থাকে না।

কে আছে আমাকে ডাকার, আমি সাড়া দেব? কে আছে আমার কাছে চাওয়ার, আমি দান করব? কে আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার, আমি ক্ষমা করব?সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতে, যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আমাদের রব নিকটতম আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কে আছে আমাকে ডাকার, আমি সাড়া দেব? কে আছে আমার কাছে চাওয়ার, আমি দান করব? কে আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার, আমি ক্ষমা করব?”’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫)।

তাহাজ্জুদের সময় আপনার হৃদয়ের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করুন। এতে মানসিক শান্তি বাড়বে এবং দিনের জন্য ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। যদি আপনি নতুন হন, সপ্তাহে এক দিন থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে এটি অভ্যাসে পরিণত করুন।

ফজরের আগে অবশিষ্ট সময়ে কোরআন তিলাওয়াত করুন, কারণ কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ভোরে কোরআন পড়া (ফেরেশতাদের) দ্বারা প্রত্যক্ষ করা হয়।’ (সুরা ইসরা. আয়াত: ৭৮)।

আরও পড়ুনইশরাকের নামাজ: সকালের আলোয় আল্লাহর নৈকট্য ০৪ জুলাই ২০২৫২. ফজরের পর ঘুম থেকে দূরে থাকুন

ফজরের নামাজের পর ঘুমিয়ে পড়া অনেকের অভ্যাস, কিন্তু এটি সকালের বরকতময় সময় নষ্ট করে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য সকালের সময়কে বরকতময় করেছেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬,৪৮১)।

এই সময়ে বড় বড় কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়, কারণ এতে আল্লাহর বিশেষ বরকত রয়েছে।

আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য সকালের সময়কে বরকতময় করেছেন। মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬,৪৮১

ফজরের পর ঘুমের প্রলোভন এড়াতে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এই সময়ে পড়াশোনা, কোরআন মুখস্থ করা বা কোনো ব্যক্তিগত প্রকল্পে কাজ করা যায়। এটি দিনের বাকি সময়ে অবসরের জন্য সময় বাঁচায় এবং আগামী দিনে আরও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করে।

বিশ্বের সফল ব্যক্তিরাও ভোর চারটা বা পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু করার কথা বলেন, যা তাদের সাফল্যের একটি রহস্য।

৩. করণীয় তালিকা তৈরি করুন

একটি করণীয় তালিকা তৈরি করা দিনের পরিকল্পনাকে সুসংগঠিত করে। আমরা প্রায়ই মনে মনে কাজের পরিকল্পনা করি, কিন্তু মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা সীমিত। একটি ডায়েরি বা ফোনের নোট অ্যাপে কাজের তালিকা লিখে রাখলে সময় ও শক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। সম্পন্ন হওয়া কাজগুলো তালিকা থেকে কেটে দেওয়ার একটা আলাদা আনন্দ আছে।

এই তালিকায় দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যও অন্তর্ভুক্ত করুন। যেমন কোরআনের একটি নির্দিষ্ট অংশ মুখস্থ করা বা একটি নতুন দক্ষতা শেখার পরিকল্পনা। এটি আপনাকে দিনের শুরুতে ফোকাসড রাখবে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।

আরও পড়ুনযে ৪টি পরীক্ষা নবীজি (সা.)–এর জীবনকে দৃঢ়তা দিয়েছে২২ জুলাই ২০২৫বিশ্বের সফল ব্যক্তিরাও ভোর চারটা বা পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু করার কথা বলেন, যা তাদের সাফল্যের একটি রহস্য।৪. সকালে স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন

সকালের মূল্যবান সময় সামাজিক মাধ্যমে বা ফোনে অযথা স্ক্রল করে নষ্ট করা উচিত নয়। অনেকে সকালে ফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু একটু দেখে নিই’ ভেবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হারিয়ে ফেলেন। এটি মানসিক চাপ বাড়ায় এবং সকালের শান্তি নষ্ট করে।

নিয়ম করুন, সকালের নাশতা বা কিছু কাজ শুরু না করা পর্যন্ত ফোন বা সামাজিক মাধ্যমে যাবেন না। সকালে খবর পড়া এড়িয়ে চলুন। কারণ, এটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারে। যখন ফোন ব্যবহার করবেন, তখন ইতিবাচক ও প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট দেখুন, যা আপনার দিনকে উজ্জ্বল করবে।

৫. শরীরচর্চা করুন

শরীরচর্চার উপকারিতা আমরা সবাই জানি। বিশেষ করে এই সময়ে, যখন অনেকে বাড়ি থেকে কাজ করছেন, শরীরচর্চা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। বাড়িতে কাজ করার ফলে ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা, পেশির সমস্যা বাড়ছে।

সকালে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, যেমন যোগ, পাইলেটস, হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা ব্রিস্ক ওয়াক, আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং মনকে সতেজ করবে।

ইউটিউবে হাজারো ধরনের ব্যায়ামের ভিডিও পাওয়া যায়, যা বাড়িতে সামান্য জায়গায় করা যায়। যদি বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তবে সকালে ৩০ মিনিট হাঁটুন। লক্ষ্য হলো শরীরকে সচল রাখা এবং শক্তি বৃদ্ধি করা।

আরও পড়ুনসুস্থ জীবন যাপনে মহানবী (সা.)-এর ৯ অভ্যাস২৪ জুলাই ২০২৫সকালে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, যেমন যোগ, পাইলেটস, হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা ব্রিস্ক ওয়াক, আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং মনকে সতেজ করবে।৬. পুষ্টিকর নাশতা গ্রহণ

ব্যস্ততার কারণে অনেকে সকালের নাশতা বাদ দেন, কিন্তু গবেষণা বলছে, পুষ্টিকর নাশতা দিনভর মনোযোগ বাড়ায়, অপ্রয়োজনীয় চিনির লোভ কমায় এবং শক্তি জোগায়। নাশতায় উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন ওটস বা মাল্টিগ্রেইন রুটি, স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন অ্যাভোকাডো বা বাদাম, গ্রিক ইয়োগার্ট এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করুন।

সময় কম থাকলে একটি স্মুদি তৈরি করুন—পালংশাক, আপেল এবং হিমায়িত কলা ব্লেন্ড করে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর নাশতা তৈরি করা যায়। এটি দিনের শুরুতে সবুজ শাকসবজি গ্রহণের একটি সহজ উপায়।

৭. নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন

বাড়ি থেকে কাজ করার সময় অনেকে ক্যাজুয়াল পোশাকে থাকেন। বরং সকালে সুন্দর পোশাক পরুন, যা আপনার মেজাজ উজ্জ্বল করবে। একটু পছন্দের সুগন্ধি ব্যবহার করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১

নবীজি (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১)। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা শুধু বাহ্যিক নয়, বরং এটি আপনার মানসিক প্রস্তুতি ও দিনের জন্য উৎসাহ বাড়ায়।

সকাল আমাদের দিনের ভিত্তি। ইসলাম আমাদের শেখায় যে সকাল আল্লাহর বরকত নিয়ে আসে। তাহাজ্জুদ, ফজরের পর জাগ্রত থাকা, করণীয় তালিকা তৈরি, স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা, শরীরচর্চা, পুষ্টিকর নাশতা এবং নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন—এই সাতটি অভ্যাস আমাদের সকালকে উৎপাদনশীল করবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সূত্র: দ্য মুসলিম ভাইব ডট কম

আরও পড়ুনরহমতের দুয়ারে হাজিরা১৫ জুন ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ