Samakal:
2025-07-31@06:34:17 GMT

২০ হাজার মানুষ পেল কম্বল

Published: 20th, January 2025 GMT

২০ হাজার মানুষ পেল কম্বল

তীব্র শীতে বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতার্ত এমন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও ফরিদপুরের পাঁচটি এনজিও। ফরিদপুর পৌর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ড ও ১২টি ইউনিয়নের ২০ হাজার শীতার্তের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত…

এবার দেরিতে এলেও বেশ জেঁকে বসেছে শীত। ফরিদপুরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামীণ বিস্তীর্ণ জনপদে কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়া। গ্রাম ও শহরের নিম্ন আয়ের মানুষ যখন শীতে কষ্ট পাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে শুরু হয় কর্মসূচি।
শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান এ.

কে. আজাদের নির্দেশনায় জানুয়ারির মাঝামাঝি ৯ দিনব্যাপী শুরু হয় শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মযজ্ঞ। ১৯ জানুয়ারি শেষ হয় কর্মসূচি। আয়োজন চলাকালে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন স্থানে ২০ হাজার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয় হয় শীত নিবারণের কম্বল। শীতে এমন উপহার পেয়ে খুশি নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষ।
৯ দিনব্যাপী যে সব এলাকায় কম্বল বিতরণ করা হয়েছে সেগুলো হলো– নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর, আলিয়াবাদ, অম্বিকাপুর, ঈশান গোপালপুর, মাচ্চর, গেরদা, কানাইপুর, চাঁদপুর, চর মাধবদীয়া, কৈজুরী ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন এবং ফরিদপুর পৌর এলাকা। 
বিশেষ করে চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ শীতে বেশি নাকাল হয়ে পড়ে। শীতের পাশাপাশি ধু-ধু বালুচরের কনকনে হাওয়া বিপন্ন করে তোলে জীবন। তাদেরই একজন স্থানীয় ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড় এলাকার নবীরন বেগম। মাঝ বয়সী এই নারী শীতবস্ত্রের জন্য কারও কাছে যেতে পারেননি। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে কম্বল নিতেও লজ্জাবোধ করছিলেন তিনি। এক সময়ের ভালো অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের অনেক মানুষ নদীভাঙনের কবলে পড়ে এখন নিঃস্ব। কম্বল পেয়ে চোখে জল আসে তাঁর। আশপাশে দেখা মেলে এমন অনেক মানুষের, যাদের অবস্থা নবীরনের মতোই।
শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় সম্পন্ন হয় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ। এ কাজে সমকাল সুহৃদ সমাবেশসহ ফরিদপুরের পাঁচটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা– এফডিএ, বিএফএফ, একেকে, এসডিসি এবং পিডব্লিউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হয়।
ব্যাংকটির ফরিদপুর শাখার ম্যানেজার কেএম আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ৯ দিনব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ  অনুষ্ঠানগুলোয় উপস্থিত ছিলেন হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন, পরিচালক মো. বেলাল হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, এফডিএর উপদেষ্টা আজাহারুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক আবু সাহের আলম, এসডিসির নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসান, পিডব্লিউর নির্বাহী পরিচালক হাফিজুর রহমান, একেকের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল জলিল, উপপরিচালক বিএম আলাউদ্দীন, বিএফএফের নির্বাহী পরিচালক আ ন ম ফজলুল হাদি সাব্বির, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ফরিদপুরের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সহসভাপতি হারুনার রশীদসহ বিভিন্ন ইউনিটের সুহৃদরা। 
আবুল কালাম আজাদ বলেন, শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ. কে. আজাদের নির্দেশনায় ব্যাংকটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাদের অনুদান এবং বাস্তবায়নকারী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে সুশৃঙ্খলভাবে প্রান্তিক মানুষদের হাতে শীতবস্ত্রগুলো পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
আনিসুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে আমরা প্রকৃত দুস্থদের তালিকা করে স্লিপ পৌঁছে দিই, যাতে সুশৃঙ্খলভাবে প্রকৃত দরিদ্র ব্যক্তি কম্বলটি পায়। আশা করি, আমাদের এই কর্মতৎপরতায় ফরিদপুরের শীতার্ত  মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়েছে। 
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, ফরিদপুর

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ তবস ত র ব তরণ জ ল ল ইসল ম শ তবস ত র ব তরণ সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।

প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।

পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—

পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’

আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ