Samakal:
2025-11-03@07:19:50 GMT

২০ হাজার মানুষ পেল কম্বল

Published: 20th, January 2025 GMT

২০ হাজার মানুষ পেল কম্বল

তীব্র শীতে বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতার্ত এমন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও ফরিদপুরের পাঁচটি এনজিও। ফরিদপুর পৌর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ড ও ১২টি ইউনিয়নের ২০ হাজার শীতার্তের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত…

এবার দেরিতে এলেও বেশ জেঁকে বসেছে শীত। ফরিদপুরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামীণ বিস্তীর্ণ জনপদে কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়া। গ্রাম ও শহরের নিম্ন আয়ের মানুষ যখন শীতে কষ্ট পাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে শুরু হয় কর্মসূচি।
শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান এ.

কে. আজাদের নির্দেশনায় জানুয়ারির মাঝামাঝি ৯ দিনব্যাপী শুরু হয় শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মযজ্ঞ। ১৯ জানুয়ারি শেষ হয় কর্মসূচি। আয়োজন চলাকালে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন স্থানে ২০ হাজার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয় হয় শীত নিবারণের কম্বল। শীতে এমন উপহার পেয়ে খুশি নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষ।
৯ দিনব্যাপী যে সব এলাকায় কম্বল বিতরণ করা হয়েছে সেগুলো হলো– নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর, আলিয়াবাদ, অম্বিকাপুর, ঈশান গোপালপুর, মাচ্চর, গেরদা, কানাইপুর, চাঁদপুর, চর মাধবদীয়া, কৈজুরী ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন এবং ফরিদপুর পৌর এলাকা। 
বিশেষ করে চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ শীতে বেশি নাকাল হয়ে পড়ে। শীতের পাশাপাশি ধু-ধু বালুচরের কনকনে হাওয়া বিপন্ন করে তোলে জীবন। তাদেরই একজন স্থানীয় ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড় এলাকার নবীরন বেগম। মাঝ বয়সী এই নারী শীতবস্ত্রের জন্য কারও কাছে যেতে পারেননি। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে কম্বল নিতেও লজ্জাবোধ করছিলেন তিনি। এক সময়ের ভালো অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের অনেক মানুষ নদীভাঙনের কবলে পড়ে এখন নিঃস্ব। কম্বল পেয়ে চোখে জল আসে তাঁর। আশপাশে দেখা মেলে এমন অনেক মানুষের, যাদের অবস্থা নবীরনের মতোই।
শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় সম্পন্ন হয় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ। এ কাজে সমকাল সুহৃদ সমাবেশসহ ফরিদপুরের পাঁচটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা– এফডিএ, বিএফএফ, একেকে, এসডিসি এবং পিডব্লিউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হয়।
ব্যাংকটির ফরিদপুর শাখার ম্যানেজার কেএম আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ৯ দিনব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ  অনুষ্ঠানগুলোয় উপস্থিত ছিলেন হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন, পরিচালক মো. বেলাল হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, এফডিএর উপদেষ্টা আজাহারুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক আবু সাহের আলম, এসডিসির নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসান, পিডব্লিউর নির্বাহী পরিচালক হাফিজুর রহমান, একেকের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল জলিল, উপপরিচালক বিএম আলাউদ্দীন, বিএফএফের নির্বাহী পরিচালক আ ন ম ফজলুল হাদি সাব্বির, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ফরিদপুরের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সহসভাপতি হারুনার রশীদসহ বিভিন্ন ইউনিটের সুহৃদরা। 
আবুল কালাম আজাদ বলেন, শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ. কে. আজাদের নির্দেশনায় ব্যাংকটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাদের অনুদান এবং বাস্তবায়নকারী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে সুশৃঙ্খলভাবে প্রান্তিক মানুষদের হাতে শীতবস্ত্রগুলো পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
আনিসুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে আমরা প্রকৃত দুস্থদের তালিকা করে স্লিপ পৌঁছে দিই, যাতে সুশৃঙ্খলভাবে প্রকৃত দরিদ্র ব্যক্তি কম্বলটি পায়। আশা করি, আমাদের এই কর্মতৎপরতায় ফরিদপুরের শীতার্ত  মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়েছে। 
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, ফরিদপুর

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ তবস ত র ব তরণ জ ল ল ইসল ম শ তবস ত র ব তরণ সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ