কত টাকা পুরস্কার পেলেন সাইফকে হাসপাতালে নেওয়া সেই অটোচালক
Published: 21st, January 2025 GMT
মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের উপর হঠাৎ হামলা। হামলার পর অভিনেতাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটা ছিল খানিক সমস্যার। কোনোরকম এক অটোচালককে ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সাইফকে। এবার সেই অটোচালক তার উদারতার পুরস্কার পেলেন।
ভজন সিং নামে ওই অটোচালক জানিয়েছিলেন, ওই রাতে এক মহিলা তার অটো থামায়। রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সাইফের চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে কিছুতেই রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। তারা নিজেদের মধ্যে কথাও বলেছিলেন যে কোন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। ভজন সিং ওই অবস্থায় কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারের থেকে কোনও টাকা নেননি।
তবে সেই রাতে এমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পরেও কারিনা কাপুর বা তাদের পরিবারের সদস্যরা কোনওরকম যোগাযোগ করেননি।
তথ্য অনুযায়ী, এই সাহসী কাজের জন্য অটোচালক ভজন সিংকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যা খান বা কাপুর পরিবারের তরফে নয়। বরং একটি সংস্থা থেকে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন ভজন।
সেই রাতে সাইফ আলী খানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সংস্থার পক্ষ থেকে অটোচালককে প্রায় ১১ হাজার রুপি নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে আর একটু দেরি হলে অবস্থা খারাপ হতে পারত বলেও মনে করছেন অনেকেই। সূত্র:
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।