১৭ বছর পর প্রকাশ্যে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা শিবির
Published: 21st, January 2025 GMT
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে এসেছে ইসলামী ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে কলেজ শাখা শিবিরের নতুন কমিটি ঘোষণার মাধ্যমে তারা প্রকাশ্যে আসে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবিরের এ কমিটি ঘোষণা করে।
কমিটিতে কলেজ শাখা শিবিরের ২০২৫ সেশনের সভাপতি হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো.
এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের নবনির্বাচিত সভাপতি মো. নূর নবী বলেন, “ছাত্রশিবির ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সব সময় যৌক্তিক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল। বিগত ফ্যাসিবাদ আমলে মিডিয়ার অপব্যবহার করে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ছাত্র রাজনীতি হোক জ্ঞানের পাঠশালা। আমরা আর কোনো ফ্যাসিবাদ দেখতে চাই না। ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সব দাবি নিয়ে ক্যাম্পাসে বিগত বছরগুলোতে আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাল্লাহ।”
তিনি আরো বলেন, “আপাতত আমাদের দুজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তীতে পুর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।”
সভাপতি সাবেক ডেমরা দক্ষিণ শাখার সভাপতি হিসেবে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব হোসাইন অত্র কলেজ শাখা শিবিরের সাবেক অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সহসম্বয়ক ছিলেন।
ঢাকা/ইয়াছিন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।