মালয়েশিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ক্রিপ্টো কারেন্সিকে জাকাতের আওতাভুক্ত করেছে। দেশটির সরকারি ইসলামী সংস্থা দ্য ফেডারেল টেরিটোরিজ ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিলের অঙ্গসংগঠন জাকাত কালেকশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী দাতুক আবদুল হাকিম আমির ওসমান মঙ্গলবার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।  

সংবাদ সম্মেলনে দাতুক আবদুল হাকিম জানান, মালয়েশিয়ায় ক্রিপ্টো কারেন্সি একটি বিকাশমান খাত বর্তমানে দেশটির মোট বিনিয়োগকারীর ৫৪ দশমিক ২ শতাংশই এ খাতের। এই বিনিয়োগকারীদের অধিকাংশেরই বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে এবং তাদের হাতে জমা রয়েছে ১ হাজার ৬০০ কোটি রিংগিতের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৩ হাজার ৫২৬ কোটি ২১ লাখ টাকা) সমপরিমাণ সম্পদ।

 “এ কারণে আমরা মনে করছি যে এই ক্রিপ্টো খাত জাকাতের একটি নতুন উৎস হতে পারে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য,” বলে জানান তিনি।

৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ অধ্যুষিত মালয়েশিয়ার মোট জনসংখ্যার ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। দেশটির ক্রিপ্টো খাতে বিনিয়োগকারীদেরও একটি বড় অংশ মুসলিম।

সম্প্রতি ফেডারেল টেরিটোরিজ ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিলের ১৩৪ তম সেশনে ডিজিটাল কারেন্সিকে ব্যবসায়যোগ্য পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “এখন ডিজিটালাইজেশনের যুগ। অর্থনীতি যেহেতু ডিজিটাল হচ্ছে, আমাদেরও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।”

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ