শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (এনইউবিটি) শিক্ষক অধ্যাপক এটিএম জহির উদ্দীন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির সেন্টার অব এক্সিলেন্স (সিওএ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন অধ্যাপক হয়েও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল।

এনইউবিটির দায়িত্ব থেকে অধ্যাপক এটিএম জহির উদ্দীনকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার তার পদত্যাগের দাবিতে শাট-ডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিকালে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করেন জহির উদ্দিন। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এনইউবিটিকে) দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারার ছিল না। গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড.

এটিএম জহির উদ্দীনকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নামে আদৌ কোনো পদ ছিল না। মূলত আওয়ামী লীগ সরকার ঘনিষ্ঠ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে ওই পদ তৈরি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অমান্য করে তাকে প্রতি মাসে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হতো।

গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের একটি অংশ ছাত্রদের পক্ষে মানববন্ধন করেন। তখন অধ্যাপক জহির উদ্দিন ওই শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি করেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকেই তার পদত্যাগের দাবি শুরু হয়। কিন্তু ট্রাস্টি ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় দাবি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

সদ্য যোগ দেওয়া এনইউবিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক জোয়ারদার বলেন, পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী দ্রুত এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

বিবাহবিচ্ছেদের পর আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন চাহাল

এ বছরের মার্চে পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন ভারতের লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। ইউটিউবার–অভিনেত্রী ধনশ্রী বর্মার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর। ভারতের ইউটিউবার রাজ শামানির সঙ্গে পডকাস্টে সংসার ভাঙা নিয়ে কথা বলেছেন চাহাল।

ভারতের হয়ে ২০২৩ সালে সর্বশেষ খেলা এই লেগ স্পিনার জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরেই তাঁর ও ধনশ্রীর মধ্যে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না। তবু তাঁরা এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগপর্যন্ত ব্যক্তিগত জীবনের ঝামেলা সামনে নিয়ে আসেননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যান এবং একপর্যায়ে আত্মহত্যা করার কথাও ভাবেন।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১ ঘণ্টা আগে

ভারতের হয়ে ৭২ ওয়ানডে ও ৮০ টি–টোয়েন্টি খেলা চাহালের কাছে রাজ শামানি জানতে চেয়েছিলেন, ঠিক কী কারণে তাঁদের সম্পর্কটা ভেঙে গেল? ৩৫ বছর বয়সী চাহালের উত্তর, ‘বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা ব্যাপারটা সামনে আনব না।’

২০১৬ সালের জুনে ভারতের হয়ে অভিষেক চাহালের। চার বছর পর ধনশ্রীকে বিয়ে করেন তিনি। চাহাল জানিয়েছেন, জাতীয় দলে হয়ে খেলায় তাঁর ব্যস্ত হয়ে পড়া এবং ধনশ্রীরও নিজ ক্যারিয়ার নিয়ে মনোযোগী হয়ে পড়ায় কেউ কাউকে সময় দিতে পারেননি। সাংসারিক ঝামেলার এটাই মূল কারণ বলে মনে করেন চাহাল।

যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী বর্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ