টিভিতে বিজ্ঞাপন প্রচারের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা চেয়ে আইনি নোটিশ
Published: 23rd, January 2025 GMT
টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ মিনিট বিজ্ঞাপন প্রচারের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ‘জাতীয় সম্প্রচার কমিশন’ গঠনেরও অনুরোধ জানানো হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স সভাপতি বরাবর বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার এই নোটিশ পাঠান।
‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে নোটিশে বলা হয়েছে, প্রতিটি রাষ্ট্রে টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারের একটি নীতিমালা অনুমোদিত আছে যা দ্বারা সম্প্রচারের সময়সীমা অর্থাৎ অনুষ্ঠান, সংবাদ, নাটক, আলোচনা ইত্যাদির মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় বিজ্ঞাপনের জন্য সময় নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন প্রচারের সময়সীমার সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। তাই চ্যানেল মালিকেরা প্রতিটি অনুষ্ঠানে যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণই বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন। ফলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করার পরিবর্তে দর্শক–শ্রোতাদের মধ্যে বিরক্তির সৃষ্টি হচ্ছে। পাশের রাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ প্রতি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত বিজ্ঞাপন প্রচারের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে যা বাংলাদেশে এখনও সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়নি।
এতে আবও বলা হয়, দুই সপ্তাহের মধ্যে টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ মিনিট বিজ্ঞাপন প্রচার করার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণসহ ‘জাতীয় সম্প্রচার কমিশন’ গঠনের অনুরোধ জানানো হলো। এতে ব্যর্থ হলে বিষয়টি জনস্বার্থ বিবেচনায় প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সময়স ম
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।