পুকুরের পাড় দেখিয়ে খনন, রাস্তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা
Published: 23rd, January 2025 GMT
নরসিংদীর শিবপুরে সরকারি পাকা রাস্তাকে পুকুরের পাড় দেখিয়ে পুরাতন পুকুর খনন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকারি রাস্তাটি পুকুরে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের সোনাকুড়া গ্রামে আবদুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি তার পুরাতন একটি পুকুর খনন করছেন। এতে এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি পাকা রাস্তাকে পুকুরের পাড় বানিয়ে পুকুরটি খনন করায় যে কোনো সময় রাস্তার ওই অংশটি পুকুরের মধ্যে ভেঙে পড়তে পারে। সরকারি রাস্তা রক্ষার জন্য দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনাকুড়া সিএন্ডবি বাজার হতে নিনগাঁও সড়কের সোনাকুড়া এলাকায় এলজিইডির সড়ক ঘেঁষে পুকুর খনন করা হচ্ছে। সরকারি পাকা রাস্তাটিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে পুকুরের পাড় বানিয়ে প্রায় ১৫/২০ ফুট গভীর করে পুকুরটি খনন করা হচ্ছে।
রাস্তাটি দিয়ে দুপাত্তর ও নিনগাঁওসহ প্রায় সাতটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। পুকুরটি পুনরায় খনন করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টি হলে রাস্তাটি পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরকারি রাস্তাকে পুকুরের পাড় বানিয়ে পুকুর খনন করার বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, “আমার জায়গায় পুকুর কাটছি, আপনাদের সমস্যা কোথায়?”
উপজেলা প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম শওকত বলেন, “সরকারি পাকা রাস্তাকে পুকুরের পাড় বানিয়ে যদি খনন করে থাকেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ব্যাপারে শিবপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যদি কেউ সরকারি রাস্তাকে পুকুরের পাড় বানিয়ে খনন করে থাকেন, তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/হৃদয়/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র আশঙ ক
এছাড়াও পড়ুন:
মে মাসে এক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস
চলতি মাসে ধেয়ে আসতে পারে এক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড়। সেই সঙ্গে এ মাসে শিলা ও বজ্রবৃষ্টিসহ তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম কামরুল হাসানের সই করা একমাসের দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসে এই তথ্য জানা গেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে যার মধ্যে এক থেকে দুইটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। দেশে ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় এবং ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
আরো পড়ুন:
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজালে’ পরিণত, বন্দরে ২ নম্বর সংকেত
উপকূল রক্ষা করছে বনাঞ্চল, কিন্তু বন বাঁচাতে নেই উদ্যোগ
তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ৩টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও মাঝারি (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং ১ থেকে ২টি তীব্র (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, “মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে বিচ্ছিন্ন ভারি বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বাড়তে পারে।”
এদিকে, মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোয় স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বিচ্ছিন্ন ভারি বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোর পানি সমতল সময় বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঢাকাসহ ৮ জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে প্রায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব এলাকায় বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে। একইসঙ্গে দেশের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হওয়া ও শিলাসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের সই করা এই সতর্কবার্তায় জানানো হয়, ঢাকা, শেরপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে পৌনে ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জনসাধারণকে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঘরে অবস্থান করা, অপ্রয়োজনে যাত্রা এড়িয়ে চলা এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা। একইসঙ্গে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া বা দেয়ালে হেলান দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর প্লাগ খুলে রাখার এবং জলাশয় থেকে দ্রুত সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিবাহী যে কোনো বস্তু থেকে দূরে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সতর্কবার্তায়। শিলাবৃষ্টির সময় সবাইকে ঘরে থাকারও আহ্বান জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকা/হাসান/সাইফ