আড়াইহাজারে ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় সহযোগিতার অভিযোগে ইমরান হোসেন নামে এক পুলিশ কনেস্টবল ও মাদক ব্যবসায়ী মাসুমকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। আটক পুলিশ সদস্য ইমরান হোসেন জেলার রূপগঞ্জ থানায় কর্মরত। তিনি একসময় আড়াইহাজারে কর্মরত ছিলেন।

মাসুম উপজেলার মারুয়াদী দেওয়ানপাড়া গ্রামের নাঈমের ছেলে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের মারুয়াদী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

স্থানীয়রদের অভিযেগ, আটক ইমরান দীর্ঘদিন ধরে আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের মারুয়াদী এলাকায় স্থানীয় অপরাধীদের সঙ্গে মিশে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন। পুলিশের পোশাক ও হাতকড়া ব্যবহার করে ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা করতেন তিনি।

আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, আটক ইমরান হোসেনকে ঘটনাস্থলে কী কারণে গিয়েছেন তা জানা যায়নি। আমরা তাকে রূপগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেছি।

নারায়ণগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) মেহেদী হাসান বলেন, সন্দেহজনকভাবে একজন পুলিশ কনেস্টবলকে আটক করা হয়েছে। জনগণের দাবি, তিনি ওই এলাকায় এসে বিভিন্ন অপকর্ম করছিলেন। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী 

বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, “সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্মে করে তাদের কোন ছাড় নয়। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। একটি অসত্য সংবাদ রাষ্ট্র ও সমাজের মাঝে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।”

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রিজভী।

কোনো কিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো যেন কারো কারো অভ্যাসে পরিনণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সমাজবিরোধী কাজে যেই জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং সরকারের মাঝে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ, কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানান অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” 

বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। জুলাই-আগস্টে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়ত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এখনও আত আতঙ্কমুক্ত নয় বলেও জানান রিজভী।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না মন্তব্য করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে যখন গমের দাম কমেছে তখন বাংলাদেশে এর দাম বেড়েছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্র এতে ব্যর্থ হলে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা।” 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী