বিপিজেএ নাঃগঞ্জ জেলার কক্সবাজার আনন্দ ট্যুর
Published: 25th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে কক্সবাজার ট্যুর ২০২৫।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে এ ভ্রমন উপলক্ষে কক্সবাজার সুগন্ধা বীচ সংলগ্ন হোটেল ইলাফ ইন্টারন্যশনাল নামে একটি অভিজাত হোটেলে স্ব পরিবারে উঠেছেন জেলা শাখার সদস্যরা। অত্যন্ত আনন্দ উল্লাসের সাথে তারা কক্সবাজার ভ্রমন করছেন।
জেলা শাখার সাধারণ স¤পাদক ও দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার ফটো সাংবাদিক সহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের মোট ২০ জন সদস্যের মধ্যে সকলেই স্ব পরিবারে কক্সবাজার ট্যুর এ এসেছেন। তিন দিনের এই আনন্দ ভ্রমনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক সন্ধা ও পুরুষ্কার বিতরন অনুষ্ঠান। স্বপরিবারে এ আনন্দ ভ্রমনে অংশগ্রহন করা সদস্যরা হলেন নিবার্হী কমিটির সভাপতি ও প্রতিদিনের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার চীফ ফটো সাংবাদিক এনামুল হক সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি ও প্রতিদিনের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার বন্দর ফটো সাংবাদিক প্রতিনিধি আমির হোসেন, যুগ্ম স¤পাদক ও নারায়ণগঞ্জের খবর ডট কম এর ফটো সাংবাদিক হাসান উল রাজিব, সাংগঠনিক স¤পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ পোষ্ট এর ফটো সাংবাদিক বিশাল আহম্মেদ, অর্থ সম্পাদক ও প্রতিদিনের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক কাইয়ুম খান, প্রচার সম্পাদক ও দৈনিক নীর বাংলা পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শহিদ হোসেন, ক্রীড়া স¤পাদক ও দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান খোকা, নির্বাহী সদস্য ১ ও দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মাহমুদ হাসান কচি, নির্বাহী সদস্য ২ ও দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ফটো সাংবাদিক কে এইচ মিলন, নির্বাহী সদস্য ৩ ও দৈনিক সচেতন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মোক্তার হোসেন, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ফটো সাংবাদিক তাপস সাহা, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ফটো সাংবাদিক হাবিবুর রহমান শ্যামল, সাবেক সহ সহ-সভাপতি ও ডেইলি অবজারভার পত্রিকার ফটো সাংবাদিক পাপ্পু ভট্টাচার্য্য, সাবেক সাধারণ স¤পাদক ও দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম সবুজ, সাবেক সাংগঠনিক স¤পাদক ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মেহেদী হাসান সজিব, সাবেক সাংগঠনিক স¤পাদক ও দৈনিক সোজা সাপ্টা পত্রিকার ফটো সাংবাদিক আরিফুর রহমান জয়, সাবেক অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক নীর বাংলা পত্রিকার ফটো সাংবাদিক কাজী আলমাছ, সাবেক ক্রীড়া স¤পাদক ও খবর প্রতিদিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক সোহেল রানা এবং সদস্য দিনার মাহমুদ। এছাড়া বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি শফিউদ্দিন আহমেদ বিটু, দৈনিক সমকাল পত্রিকার সিনিয়র ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ নয়ন, এন টিভি ডট কম এর সিনিয়র ফটো সাংবাদিক মোঃ ইব্রাহিম।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আনন দ সদস য ভ রমন
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানার বর্জ্যে মরছে নদ
ডাইং কারখানার বর্জ্যে মরছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রকাশ্যে এ দূষণ ঘটলেও দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ভুক্তভোগীদের। পরিবেশ কর্মকর্তা চাইছেন সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও নরসিংদী সদর উপজেলায় অন্তত ৬০টি ডাইং কারখানা ব্রহ্মপুত্র দূষণের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। নদের তীরে অবস্থিত এসব কারখানায় এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) থাকলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই প্রতিদিন নদে ফেলছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এ নদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষজন।
অভিযোগ রয়েছে, নদের তীরে অবস্থিত কারখানাগুলো ইটিপি রাখলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ফেলছে। অনেক কারখানায় ইটিপি থাকলেও খরচ কমাতে বেশির ভাগ সময় তা বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া বেশকিছু কারখানার ইটিপি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট হওয়ায় সঠিকভাবে বর্জ্য পরিশোধন করা সম্ভব হয় না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, নরসিংদী সদর উপজেলায় রয়েছে ছোট-বড় ৫০টি ডাইং কারখানা। আড়াইহাজারে স্পিনিং মিলসহ ডাইং কারখানা রয়েছে অন্তত ১০টি। নরসিংদীর ডাইং কারখানাগুলোর মধ্যে পাঁচদোনা এলাকার আবদুল্লাহ ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ, বাঘহাটা এলাকার ফাইভ অ্যান্ড ফাইভ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, সাজেদা ডাইং, আনোয়ার ডাইং, শতরূপা ডাইং, রুকু ডাইং, মেসার্স একতা ডাইং, কুড়েরপাড় এলাকার ব্রাদার্স টেক্সটাইল, ইভা ডাইং, ভগীরথপুর এলাকার এম এমকে ডাইং, নীলা ডাইং, এইচ এম ডাইং, মা সখিনা টেক্সটাইল, মুক্তাদিন ডাইং, পাঁচদোনা এলাকার তানিয়া ডাইং, সান ফ্লাওয়ার টেক্সটাইল প্রভৃতি।
আড়াইহাজারের কয়েকটি কারখানা হলো– ভাই ভাই স্পিনিং মিলস, ছাবেদ আলী স্পিনিং মিল, রফিকুল ডাইং, দিপু ডাইং ও হাজী হাবিবুর ডাইং।
আড়াইহাজার পৌরসভার চামুরকান্দি এলাকার বাসিন্দা মিয়াজউদ্দিন মিয়া বলেন, দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে নদটি। দেশীয় জাতের মাছের অভয়াশ্রম এ নদ থেকে মাছ হারিয়ে গেছে।
আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেন জানান, রফিকুল ডাইংয়ের বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে পানির রং কালচে হয়ে গেছে। একই অবস্থা অন্য কারখানাগুলোর। বর্জ্য নদে ফেলার বিষয়ে স্থানীয়রা কথা বলতে গিয়ে উল্টো কারখানা কর্তৃপক্ষের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
রফিকুল ডাইংয়ের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের ইটিপি নেই। ডাইংয়ের পানি তারা নির্দিষ্ট পানির ট্যাংকে রাখেন, সরাসরি নদে ফেলেন না। ট্যাংকে জমানো পানি কোথায় ফেলেন জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের গনেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হাসান শুভর ভাষ্য, কুড়েরপাড় এলাকার ডাইং কারখানাগুলোর রং মেশানো বর্জ্য পরিশোধন না করে ব্রহ্মপুত্রে ফেলায় নদটি এখন মৃতপ্রায়। দূষণের কারণে দুর্গন্ধে এর পারে দাঁড়ানো যায় না। স্থানীয়রা অনেকবার প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।
গত ১৫ এপ্রিল শিলমান্দী ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইভা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড নামে একটি কারখানা থেকে বর্জ্য এসে পড়ছে নদের পানিতে। ভিডিও করতে দেখে কারখানা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দেয়।
ইভা ডাইংয়ের ইটিপি ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তারা প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন। অনেক কারখানা সরাসরি নদে বর্জ্য ফেললেও তারা নদ দূষণ করেন না।
একই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফাতেমা ডাইংসহ ব্রহ্মপুত্রের তীরে গড়ে ওঠা কারখানাগুলো থেকেও নদে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে এসব কারখানার কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, নদে বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক বাবু জানান, ব্রহ্মপুত্রে নদে সরাসরি বর্জ্য ফেলছে ডাইংসহ যেসব কারখানা সেসবের অধিকাংশই নরসিংদী জেলার অন্তর্গত। তাই নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নদ দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আড়াইহাজারের ইউএনও সাজ্জাত হোসেন বলেন, কখনও কখনও কিছু কারখানা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ছেড়ে দেয়। কোন কারখানা নদ দূষণ করছে, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশবাদী সংগঠন তা জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।