প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন, “৭২ থেকে ৭৫ এর ইতিহাস ও পত্রিকার খবর মুছে ফেলা হয়েছে। মিডিয়া ছাড়া ফ্যাসিবাদ এতদিন টিকে থাকতে পারত না। যখন মিডিয়া ব্যর্থ হয়, তখন রাষ্ট্র টিকে থাকে না। নতুন প্রজন্ম তাদের কথাগুলো বলতে পারছে না। কারণ তাদের কোন মিডিয়া নেই। এ গণঅভ্যুত্থান হয়তো ১০ বছর পর প্রতিষ্ঠিত থাকবে না। কারণ ষড়যন্ত্রকারীরা একে নস্যাৎ করে দিতে পারে।”

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে পিআইবি আয়োজিত ‘সংবাদ না বয়ান: গণমাধ্যমের ঝোঁক ও ঝুঁকি’ শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “একসময় গণমাধ্যম শুধু খবর প্রচার করতো। কিন্তু ফ্যাসিবাদী সময়ে গণমাধ্যম বিভিন্ন বয়ান প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। উন্নয়নের জোয়ার ও  মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে বিভিন্ন বয়ান প্রচার করা হত। বয়ানের মাধ্যমে গণমাধ্যম প্রমাণ করতো কে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, কে বিপক্ষের লোক। এতে জড়িয়ে পড়েছিল সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীরাও।”

তিনি আরও বলেন, “রাজনীতিতে ইসলাম ও মুসলমানের নাম থাকা মানেই তারা সন্দেহভাজন জনগোষ্ঠী। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে প্রহসনের সময় কিংবা তারও আগে বুদ্ধিজীবীরা লিখেছিল, প্রয়োজনে কয়েক লক্ষ মানুষ মারতে হবে। তবুও বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের পথে রাখতে হবে।”

চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আর রাজীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।

এছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম এ‌বং কবি, বুদ্ধিজীবী ও ক্রিটিক রিফাত হাসান।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাগরিক সমাজ শাসকদের পক্ষে থাকে কেন?
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি