জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর রামপুরায় একটি ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীকে গুলি করার আলোচিত সে ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানার কর্মস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ওসি মো.

জাকারিয়া।

তিনি জানান, চঞ্চল চন্দ্রকে গ্রেপ্তারের সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট ছিল। গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও সেদিন চঞ্চল সরকার শিক্ষার্থীকে গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি জাকারিয়া।

থানা সূত্রে জানা গেছে, এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকার গত নভেম্বর খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানায় যোগদান করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণহত য

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ