ডোপামিন ডিটক্স কী

ভালো লাগার অনুভূতির সঙ্গে যেসব হরমোন যুক্ত, তার মধ্যে অন্যতম ডোপামিন। অর্থাৎ দেহে ডোপামিনের মাত্রা বাড়লে আমাদের ভালো লাগে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে ভালো লাগার একটা অনুভূতি পেতে অনেকেই এমন কাজে ডুবে থাকেন, যাতে অস্থিরতা বাড়তে পারে। এই বিষয়টা মনের জন্য ক্ষতিকর।

যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রল করা কিংবা তা করতে না পারলেই অস্থির হয়ে পড়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ডোপামিনের ব্যাপারস্যাপার।

একই রকম ব্যাপার যুক্ত থাকে বারবার মুঠোফোনের নোটিফিকেশন দেখা, রিল দেখা, গেম খেলা, চা-কফি খাওয়া কিংবা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার সঙ্গেও।

এ ধরনের যেকোনো অভ্যাসে কারও জড়িয়ে পড়ার কারণই হলো, ওই কাজটি থেকে তিনি অনেক বেশি মাত্রায় ডোপামিন পান। তাই ওই কাজটি করতে না পারলেই অস্থির হয়ে পড়েন।

এ ধরনের যেকোনো কাজের প্রতি অতিনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার পদ্ধতিকেই বলা হয় ডোপামিন ডিটক্স।

আরও পড়ুনপ্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে মেনে চলুন ৮টি উপায়১০ ঘণ্টা আগেযেভাবে করা যায় এই ডিটক্স

ডোপামিন ডিটক্স মানে কিন্তু এই নয় যে দেহ থেকে ডোপামিন বের করে দিতে হবে। সুস্থ থাকতে দেহে ডোপামিনের ভারসাম্য তো ঠিকঠাক থাকতেই হবে। ডোপামিন ডিটক্সের অর্থ হলো আপনি এমন কাজের চর্চা করবেন, যাতে দেহে ডোপামিনের মাত্রা বাড়বে ধীরে ধীরে।

প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানো, বাগান করা, ধ্যান করা, নীরবতা উপভোগ করা, বই পড়া, মনের কথা লিখে রাখা কিংবা পছন্দের কাজ শেখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ডোপামিন বাড়ে। তাই প্রশান্তিদায়ক আনন্দ পাওয়া যায়। কার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন কাজটা উপকারে আসবে, তা তিনি নিজেই ভেবে বের করতে পারবেন।

ধাপে ধাপে এগোন

এ ধরনের কাজের অভ্যাস করার কথা বলা যতটা সহজ, করা ততটা সহজ নয়। তাই এগোতে হবে ধাপে ধাপে।

সপ্তাহের একটা দিন দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। সেদিন আপনি ওসব কাজ করবেন না, যেসবের প্রতি আপনি অতিনির্ভরশীল; অর্থাৎ যেসব কাজে উচ্চমাত্রার ডোপামিন পাওয়া যায়। বরং কাটাবেন প্রশান্তির সময়।

ডিটক্সের জন্য যে ধরনের কাজ করা প্রয়োজন, তেমন কিছুতে সময় কাটান। ঘুরে আসতে পারেন ধারেকাছে কোথাও।

প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানো, বাগান করা, ধ্যান করা, নীরবতা উপভোগ করা, বই পড়া, মনের কথা লিখে রাখা কিংবা পছন্দের কাজ শেখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ডোপামিন বাড়ে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড প ম ন ড টক স ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

৫ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন সাবেক প্রধান বিচারপতির

প্রায় তিন মাস ধরে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক জামিনে মুক্তি পেতে আবেদন করেছেন হাইকোর্টে।

পৃথক পাঁচটি মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে করা তাঁর আবেদন আজ সোমবার বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ১০২৭ থেকে ১০৩১ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। আগামী সপ্তাহে আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

খায়রুল হকের আইনজীবী আজ সকালে আবেদনের বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। পরে আবেদনকারীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ মামলায় পৃথক পাঁচটি আবেদন গতকাল রোববার আদালতে জমা দেওয়া হয়, যা আদালতের আজকের কার্যতালিকায় ওঠে। সকালে আবেদনের বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করা হয়। আদালত বলেছেন, আবেদনগুলো শুনানির জন্য আগামী রোববার কার্যতালিকায় আসবে। সেদিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলের কর্মী আবদুল কাইয়ুম হত্যা মামলা এবং রায় জালিয়াতি এবং বিধিবহির্ভূতভাবে একটি প্লট গ্রহণের মামলায় জামিন চেয়ে আবেদনগুলো করেন বিচারপতি খায়রুল হক।

আরও পড়ুনআসামির কাঠগড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৪৫ মিনিট৩০ জুলাই ২০২৫

এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন। ওই রায়ের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।

জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক বছর পর গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে গত বছরের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে করা একটি মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।

আরও পড়ুনসাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক রিমান্ড শেষে কারাগারে০৭ আগস্ট ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার–সংক্রান্ত রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৭ আগস্ট শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন একটি মামলা করেন। একই অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় গত ২৫ আগস্ট আরেকটি মামলা করেন জনৈক নুরুল ইসলাম মোল্লা। এ ছাড়া বিধিবহির্ভূতভাবে প্লট গ্রহণের অভিযোগে চলতি বছরের আগস্টে একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই পাঁচ মামলায় জামিন চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহীন।

যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম হত্যা মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে গত ৭ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন খায়রুল হক। গত ১৭ আগস্ট তাঁর আইনজীবীরা আদালতে সময়ের আরজি জানান, যা মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। ওই আবেদন এখন শুনানির অপেক্ষায়।

আরও পড়ুনসাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ, অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক২৪ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ