কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নাছরিন খাতুন (২০) নামে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের আড়পাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

স্বজনরা জানিয়েছেন, বাবার বকুনি সইতে না পেরে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেন। 

নাছরিন খাতুন আড়পাড়ার সাবাস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি কুমারখালী সরকারি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। গতকাল সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মর্গের সামনে কথা হয় নাছরিনের চাচা আজিবার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, রোববার নাছরিনের মা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। বাবা সাবাস উদ্দিন তাকে ভাত রান্না করতে বলেছিলেন। কিন্তু নাছরিন ভাত রান্না না করায় রেগে বকাবকি করেন। 

আজিবারের ধারণা, বাবার বকুনিতেই অভিমান করেন নাছরিন। পরে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাদের কোনো অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে।

শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী হাসান তারেক বিপ্লবের ভাষ্য, তিনি শুনেছেন ওই তরুণীর মানসিক সমস্যা ছিল। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি নাছরিনের মা-বাবা।

কুমারখালী থানার ওসি মো.

সোলায়মান শেখ বলেন, খবর পেয়ে ওই কলেজছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, বাবার ওপর অভিমান করে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ