আন্দোলনকারী বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের সঙ্গে যে কোন সময় আলোচনায় বসতে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, তাদের কিছু দাবি পূরণ করা হয়েছে। বাকি দাবির বিষয়ে তাদের সঙ্গে যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত সরকার।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যান রেল উপদেষ্টা। রানিং স্টাফদের আন্দোলনের মুখে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার ১০ ঘণ্টা পর যাত্রীদের মুখোমুখি হলেন তিনি।

এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন রেল সচিব, রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক, বিআরটিসি চেয়ারম্যানসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। ট্রেন সার্ভিস বন্ধ থাকায় স্টেশনে উপদেষ্টাকে পেয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন যাত্রীরা। উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেন দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হবে।

তিনি বলেন, যাত্রীরা যারা এখানে আছেন, তাদের জন্য আমরা বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করছি। রেলের টিকিটে তারা যাত্রীদের গন্তব্যে নিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ (গার্ড, লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার, সাব লোকোমাস্টার, টিটিই) কর্মচারী ইউনিয়ন। এতে সারাদেশে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ল য গ য গ বন ধ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ