মাদক সেবন নিয়ে বিরোধে বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন
Published: 28th, January 2025 GMT
বগুড়ায় মাদক সেবন নিয়ে বিরোধের জেরে বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে হৃদয় আকন্দ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের ফুলবাড়ি মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হৃদয় ওই এলাকার বাবু আকন্দের ছেলে।
নিহত হৃদয় চুরি, ছিনতাই ও মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। মাদক সংক্রান্ত জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বগুড়া ফুলবাড়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আলমাস আলী সরকার।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সকালে হৃদয় তার কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে মধ্যপাড়া এলাকায় সরিষার ক্ষেতের পাশে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় হৃদয় আগে পরে মাদক সেবন করা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এসময় তাদের মধ্যে কেউ একজন হৃদয়কে সরিষার ক্ষেতের মধ্যে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ইন্সপেক্টর আলমাস আলী সরকার আরও জানান, হৃদয়কে উদ্ধার করে প্রথমে টিএমএসএস হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বন ধ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস