১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু
Published: 28th, January 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরের চিসখালি নামক স্থানে ট্রালারসহ ১৫ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু মজনু বাহিনীর সদস্যরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় আশপাশে থাকা অন্য ট্রলারের জেলেরা এগিয়ে এসে একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে জব্দকৃত অস্ত্র এবং আটককৃতদের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দরবাড়িয়ার চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরার সময় জেলেদের অপহরণের ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
বিএনপি মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে: ইব্রাহীম মোল্লা
রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
আটক জলদস্যুরা হলেন- মাইজে ভাই হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্যামনগর উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল ইসলাম ও রহমত আলী। তারা তিনজন আত্মসমর্পণকারী বনদস্যু মজনুর দলের সদস্য।
দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “দুবলার চরের আলোকোল থেকে জেলেরা কয়েকটি ট্রালার নিয়ে মান্দরবাড়িয়ার বাহির সাগরের চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরতে যান। গতকাল রাতে বনদস্যু মজনু বাহিনীর ১০-১৫ জন সদস্য দুটি ট্রলারে এসে মাছধরা অবস্থায় জেলেদের ওপর হামলা চালায়। অস্ত্রের মুখে তারা ১৫ জেলেকে অপহরণ করে একটি ট্রলারে করে নিয়ে যায়।”
তিনি আরো বলেন, “এসময় আশপাশে থাকা মাছ ধরা অন্য ট্রলার এগিয়ে আসে। ওইসব ট্রলারের জেলেরা একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক জলদস্যুদের সুন্দরবনের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা। অপহৃত জেলেদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।”
শ্যামনগর থানার ওসি মো.
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাও. রইস এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শহরে বিক্ষোভ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা মহানগরের সাবেক সভাপতি মাওলানা রইস উদ্দিন এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আয়োজনে এ প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শহরের চাষাড়া প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিবি রোড প্রদিক্ষন করে ২ নং রেল গেইটে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মহিউদ্দিন হামিদী বলেন, মাওলানা রইস উদ্দিন এর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। মাওলানা রইউদ্দিন একজন সহজ সরল ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি বিগত দিনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।
দীর্ঘদিনের দায়িত্বে তিনি কোন অবহেলা করেননি, সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। যে পুলিশ সদস্য মাওলানা রইস উদ্দিনকে পানি পান করার প্রলোভন দেখিয়ে আবার পানি কেড়ে নিয়েছে তাকেও আমরা গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি।
পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে মাওলানা রইস উদ্দিন এর আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মহিউদ্দিন হামিদীর সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মুফতি সিরাজুল ইসলাম মনির, মহানগরের আহ্বায়ক মাওলানা মুফতি ইকরাম হোসেন খান, মাওলানা জামাল উদ্দিন নূরী, মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস, মাওলানা মোঃ আমজাদ হোসেন, মাওলানা মোঃ জহিরুল ইসলাম তাহেরী, মাওলানা আবু নাসের মোঃ মুসা, মাওলানা আব্বাসউদ্দিন, মাওলানা হোসাইন রেজা কাদেরী, মাওলানা আল মিরাজ কাদেরী, আফজাল হোসেন তালুকদার, যুব সেনা এর সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ হাসান ও মাওলানা গোলাম পাঞ্জাতন আজহারী মাওলানা ইয়াসিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।