প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহায়তা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে ইইউ গণতন্ত্র বিশেষজ্ঞ মাইকেল লিডরের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, “তারা দুই সপ্তাহ ধরে দেশে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। মতবিনিময়ের ফিডব্যাক দিতে এসেছেন তারা। সব লেভেলের একটাই কথা; সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কমিটমেন্ট রয়েছে সবক্ষেত্রে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কীভাবে ভোটাধিকারের ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে পারি সে বিষয়ে পরামর্শ বা মডেল থাকলে শেয়ার করতে বলেছি।”

তিনি বলেন, “এটি জটিল প্রক্রিয়া। এখানে দিন হলেও প্রবাসে কোথাও কোথাও রাত। তারাও বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।”

আখতার আহমেদ বলেন, “ভোটারদের আস্থা ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সচেতনতা, যোগাযোগ সিস্টেমকে আরো মজবুত করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।”

এর আগেও ইইউ রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলেন। আগামী সপ্তাহে সার্বিক মতামত নিয়ে দেশ ছাড়বেন বলেও জানান আখতার আহমেদ।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ