ভারতের বাঁধের কারণে বাংলাদেশের নদী, খাল-বিল শুকিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ভারত বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণের ফলে আমাদের প্রধান নদীগুলো শুকিয়ে গেছে। ফলে চাষাবাদে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভারত যে বাঁধ দিচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি উপস্থাপন করতে হবে। বিগত সময়ে আমাদের সরকার আমলে বিষয়টি জাতিসংঘে উস্থাপিত হয়েছিল। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে মাগুরা নোমানী ময়দান মিলনায়তনে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজিত কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়া সরকারের আমলে খাল কাটা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছিল, যা এখন ভরাট হয়ে গেছে। একই সঙ্গে দেশের ছোট নদীগুলো ভরাট হয়েছে। পতিত সরকারের সময় নদী-খাল খনন কেমন হয়েছিল আপনারা জানেন। আমাদের এই অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আবার খাল কেটে বাড়তি পানির ব্যবস্থা করতে হবে, যা শুকনো মৌসুমে কাজে লাগবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিদ্র ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার প্রমুখ।

এদিকে কুষ্টিয়ায় ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা যদি ঠিক করতে না পারি, তবে দেশের কোনো কিছুরই সমাধান হবে না। ঝড়, তুফান, বন্যা, খরা, বৃষ্টি যাই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সেই ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই হবে। এই লক্ষ্যপথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে আমরা তাদের প্রতিহত করব।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ডা.

মওদুদ আলমগীর পাভেল, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমী প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল

মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর)  বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।” 

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/চন্দন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ