খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ফতুল্লায় দোয়া মাহফিল
Published: 31st, January 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ফতুল্লায় দোয়া মাহফিল ও গরীবদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে ধর্মগঞ্জ ইউনাইটেড ক্লাবে এই দোয়া মাহফিল ও কম্বল বিতরন করা হয়।
এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চলনায় এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটনের তত্ত্বাবধানে সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেনের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, যারা ভাবছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু লিখে গুজব ছড়িয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তাদের কে বলতে চাই আপনারা চিন্তা করবেন না আপনারা আবার ক্ষমতায় আসবেন। শেখের বেটি শেখ হাসিনা আজ নিজেই পালিয়ে গিয়ে পাশের রাস্ট্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে রেহিঙ্গা হিসেবে রয়েছেন।
এ দেশের মাটি মানুষের কথা চিন্তা করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া পালিয়ে যাননি। তারা সব সময় এদেশের মাটি ও মানুষের কথা চিন্তা করে গেছেন। কোন অন্যায়ের কাছে আপোষ করেন নি।
তিনি আরো বলেন শেখ হাসিনা যেমন তাদের দলের কোন নেতাকে না বলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ঠিক তেমনি নারায়ণগঞ্জের সেই আলোচিত গডফাদার শামীম ওসমান ও তার কোন কর্মীকে না বলেই স্ব-পরিবারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। হাসিনা আর তার সরকার প্রজন্মের পর প্রজন্ম এ দেশে আসবেনা। এ দেশের মানুষ হাসিনার লাশটি পর্যন্ত গ্রহন করবেনা।
প্রশাসন কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি বর্ষন ও হামলার সাথে জড়িত ফ্যাসিস্ট সরকারের সদস্যরা এলাকায় ঘুরে ফিরছে এমনকি হুমকি দিচ্ছি আপনারা তাদের কে গ্রেফতার করছেনা। যারা আজ দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন তাদের কে গ্রেফতার করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, যারা ৫ আগস্টের পরে কবর স্থান মসজিদের জমি, ঝুট সন্ত্রাসী, ট্রাক স্ট্যান্ড,জমি জবর দখল করে মঞ্চে উঠে সাধু বক্তব্য দিয়েছেন তাদেরকে দল চিন্থিত করে তদন্ত করে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছেন। বাবার পর ছেলের বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা নিয়ে কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছেন।
কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পর সেই ব্যক্তি এখন বলে বেড়াচ্ছেন তাকে নমিনেশন দেওয়া হবে তাই কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এগুলো মিথ্যা গুজব বলে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, তাকে ওয়ার্ডের কমিশনার বা মেম্বারের নমিনেশন দিবেনা।কারন দল জেনে গেছে তিনি মুখে বলেন এক করেন আরেক।
তিনি জাহাজ কেটে খেয়েছেন,তার ছেলে ঝুট ছিনতাই করেছেন,কবরস্থানের জমি দখল করে নিয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বাটপারি করছেন তা একন সকলেই জেনে গেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা দ্রীঘ ১৬ বছরে যে আন্দোলন করেছি তা ৫ আগস্ট কিছুটা হলেও সফলতা পেয়েছে তবে পুরোপুরি সাফল্য আসেনি।
আমাদের নেতা তারেক রহমনা বলে আসছে আপনারা লুটতরাজ করবেন না। কিন্ত আমরা দেখছি যারা বিগত দিনে আন্দোলনে ছিলোনা তারাই আজ নেতৃত্ব গ্রহন নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। দলের সামনের কাতারে এসে তারা দাড়াচ্ছে পেছনে ঠেলে দিচ্ছে যারা রাজপথে আন্দোলনে সংগ্রামে ছিলো।
তিনি আরো বলেন সবাই সতর্ক থাকবেন, হাইব্রিড কোন নেতাকে মাঠে থাকতে দিবেন না। এ সকল হাইব্রিডরা ফ্যসিস্ট সরকারের দোসর,এরা গডফাদার শামীম ওসমানের লোক। তিনি আরো বলেন বিএনপির কোন লোকজন দিয়ে যেনো সাধারন কোন মানুষের ক্ষতি না হয়।
ফ্যসিস্ট সরকারে ভোটে সাধারন জনগন ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে বিএনপিকে নীরবে সমর্থন করে গেছেন। তাই এরাই হলো মূল শক্তি। তিনি বলেন আগামীতে আবারো আন্দোলন করতে হবে।বর্তমান সরকারকে আমরা সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচনের জন্য যতোটুক সংস্কার করা প্রয়োজন ঠিক ততোটুক সংস্কার করে নির্বাচন দিন। আর তা না হলে জনগন আবারো মাঠে নামবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন,ফতুল্লা থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু,ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি আনিছুর রহমান,নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি জুয়েল আরমান,ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী।
এছাড়া অন্যানদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক বাবুল সরদার, দপ্তর সম্পাদক নান্নু সরদার এনায়েতনগর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি -নাছির উদ্দিন রিপন,সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন খোকন,কোষাধক্ষ্য তৈয়ব ,যুগ্ম সম্পাদক আল-মমিন,দপ্তর সম্পাদক হাসান,২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজ উদ্দিন সিরাজ,সাধারণত সম্পাদক -আরিফুল ইসলাম মানিন,সাংগঠনিক সম্পাদনা খোকা,সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আকরাম।৩নংওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জহির, সাংগঠনিক সম্পাদক কে,এম ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার, সহ-সভাপতি রঞ্জু, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আক্কাস, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন,সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মিন্টু, সহ-সভাপতি সোহেল,৫নং বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রায়হান ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির, যুগ্ম সম্পাদক লিটন সরদার,সহ-সভাপতি রফিক সহ-সাংগঠনিক আবুল বাসার,প্রচার সম্পাদক জাফর, এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির সরদার প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপস থ ত ছ ল ন ন ব এনপ র ল ইসল ম গঠন ক স আপন র সরক র সরদ র
এছাড়াও পড়ুন:
চারঘাটের নন্দনগাছীতে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির (স্টপেজ) দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ।
এ সময় আন্দোলনকারীরা স্টেশন সংস্কার ও আন্তনগর ট্রেন থামানোর দাবি-সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন তুলে ধরেন। বেলা একটার দিকে কর্মসূচি শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দাবির মধ্যে ছিল সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং স্টেশনের সংস্কার।
১৯২৯ সালে উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনটি স্থাপিত হয় নিমপাড়া ইউনিয়নের বরকতপুর এলাকায়, যা নন্দনগাছী স্টেশন নামে পরিচিত। শতবর্ষী স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে। নিয়ম অনুযায়ী এই স্টেশনে স্টেশনমাস্টার, টিকিট মাস্টার, পোর্টারম্যান, পয়েন্টসম্যান, গেটম্যানসহ জনবল ছিল ১২ জন। বর্তমানে শুধু পোর্টারম্যান পদে একজন কর্মরত আছেন। শুধু দুটি লোকাল ট্রেন সেখানে থামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধে অংশ নেওয়া লোকজন ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে ট্রেন থামানোর দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীগামী একটি মেইল ট্রেন এলে স্টেশনে প্রবেশের আগেই জাতীয় পতাকা ও লাল পতাকা নিয়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেন আন্দোলনকারী। তাঁরা ট্রেনের চালকের রুমে গিয়ে ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেন। তাঁরা কেউ রেললাইনে, কেউ ট্রেনের ছাদে উঠে আবার কেউ প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নেন। প্রায় ১০-১২ মিনিট পর ট্রেনটিকে যেতে দেওয়া হয়।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসে চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ট্রেন বরেন্দ্র এক্সপ্রেস। নন্দনগাছী রেলস্টেশনে ট্রেনটির নির্ধারিত যাত্রাবিরতি নেই। তবে দাবি আদায়ের জন্য রেললাইনে সাধারণ লোকজন অবস্থান নেওয়ায় ট্রেন দুটি সেখানে থামতে বাধ্য হয়। প্রায় ১৫ মিনিট ট্রেনটিকে আটকে থাকার পর আবু সাইদ চাঁদের সহযোগিতায় ট্রেনটি সেখান থেকে রাজশাহীর দিকে রওনা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে