গাজীপুরের চন্দ্রায় ইলেকট্রনিক্স খাতে দেশের সেরা ব্র্র্যান্ড ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ফ্রাঞ্জাইজি ঢাকা ক্যাপিটালসের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাদের মধ্যে ছিলেন— ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা, ব্যাটার লিটন দাস, সাব্বির রহমান ও তানজিদ তামিম, পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিক ফাহাদ ও ম্যানেজার সাইফ।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি, ২০২৫) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন কর্পোরেট অফিস থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে আসেন ঢাকা ক্যাপিটালস দলের ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তারা।

হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছালে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, ওয়ালটন ক্যাবলসের চিফ বিজনেস অফিসার রাজু আহমেদ, ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন, ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। 

অতিথিরা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক মানের ক্যাবলস ও ফ্রিজের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টস পরিদর্শন করে অত্যন্ত মুগ্ধ হন। 

এরপর অতিথিরা ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেন। সবমিলিয়ে সারা দিন আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করে ঢাকা ক্যাপিটালস দলের প্রতিনিধিদল। 

ঢাকা/সাহেল/রফিক 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য প ট লস

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ