সাভারে ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৪ জনের মরদেহ উত্তোলন
Published: 1st, February 2025 GMT
সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত চারজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও পরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মরদেহগুলো তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার চারালপাড়া এলাকা থেকে জাহিদুল ইসলাম (২৮), ভাদাইল এলাকার পাবনারটেক থেকে আশরাফুল ইসলাম (৩০) এবং বগাবাড়ির আমবাগান এলাকার কবরস্থান থেকে পরিচয় শনাক্তের জন্য দুটি মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।
আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তারের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশ কবর থেকে মরদেহগুলো উত্তোলন করে।
আরো পড়ুন:
১১০ দিন পর আন্দোলনে নিহত রিপনের লাশ উত্তোলন
সুরতহালে যুবক, ময়নাতদন্তে হয়ে গেলো কিশোরী
নিহত মো.
বগাবাড়ি আমবাগান এলাকার কবরস্থানে দাফন হওয়া দুইটি মরদেহ তোলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মরদেহ গত বছরের ৫ আগস্ট নিহত আবুল হোসেনের বলে দাবি করেন লাকী আক্তার নামে এক নারী।
লাকী আক্তার জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন আবুল হোসেন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যরা আবুল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভ্যানে তোলা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের জানান। কিছুদিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশুলিয়া থানার সামনে একটি ভ্যানে লাশের স্তূপের একটি ভিডিও দেখতে পান লাকী আক্তার। ওই ভ্যানের একটি মরদেহের পোশাক দেখে সেটি আবুল হোসেন বলে জানতে পারেন তিনি।
তিনি আরো জানান, বগাবাড়ি এলাকার কবরস্থানে আন্দোলন নিহত দুই ব্যক্তিকে কবর দেওয়া হয়। যারা কবর দিয়েছিলেন তারা একটি মরদেহের পড়নের জামা-কাপড়ের বর্ণনা দিলে সেটি আবুল হোসেনের পোশাকের সঙ্গে মিলে যায় বলেও দাবি করেন তিনি।
লাকী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “আমারে ছাত্ররা নিয়া মামলা করাইছে। আসামি কয়জন আমি জানি না। আমারে কোন কিছু পইড়া শুনায় নাই। আমি লেখাপড়া জানি না। আমারে যেখানে সাইন (সই) করতে বলছে, আমি সাইন করছি।”
আশুলিয়া থানার ওসি মো. নূর আলম সিদ্দিক বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় কিছু হত্যা মামলা হয়েছে। ওই সময় নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য পিএম রিপোর্ট তৈরি করা প্রয়োজন। আদালতের নির্দেশে মরদেহ তোলা হয়েছে। সুরতহাল প্রস্তুত শেষে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
আশুলিয়ায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তার বলেন, “আদালতের আদেশে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে কবর থেকে চারটি মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। একজন নারী একটি লাশ তার স্বামীর বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে ওই কবরস্থান থেকে দুটি মরদেহ তোলা হয়েছে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ময়ন তদন ত মরদ হ ময়ন তদন ত কবরস থ ন কবর থ ক আশর ফ ল র মরদ হ এল ক র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।
অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।