৮ কোম্পানির অর্ধবার্ষিকে মুনাফা বেড়েছে
Published: 2nd, February 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮টি কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) ও অর্ধবার্ষিক (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এসিআই ফর্মুলেশনস, ইফাদ অটোজ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সায়হাম কটন মিলস, বিচ হ্যাচারি, ডেসকো, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ও কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ২য় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৭.
এসিআই ফর্মুলেশনস: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ২য় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪.৪০ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ২.৭০ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১.৭০ টাকা। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬.৭৫ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৪.৩৪ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ২.৪১ টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৩.৭০ টাকায়।
ইফাদ অটোজ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ২য় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৪৬ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.০২ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ০.৪৪ টাকা বা ২২০০ শতাংশ। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.২৫ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.০৩ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ০.২২ টাকা বা ৭৩৩ শতাংশ। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬.০৮ টাকায়।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ২য় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.২১ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল (০.২৮) টাকা। এতে করে ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি উত্থান হয়েছে ০.৪৯ টাকা বা ১৭৫ শতাংশ। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩৫ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল (০.৮০) টাকা। এতে করে ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি উত্থান হয়েছে ১.১৫ টাকা বা ১৪৪ শতাংশ। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.৭১ টাকায়।
সায়হাম কটন: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ২য় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩১ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.২৭ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ০.০৪ টাকা। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৫৮ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৩৯ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ০.১৯ টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৮.৩১ টাকায়।
বিচ হ্যাচারি: কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.৮৫ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৮৮ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ০.৯৭ টাকা। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.৭০ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.৩২ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১.৩৮ টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫.১৬ টাকায়।
ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১৬ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.১৩ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ০.০৩ টাকা। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩২ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.২০ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ০.১২ টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩২.৭৫ টাকায়।
কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩০ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ০.২১ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ০.০৯ টাকা কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৪০ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৩৪ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ০.০৬ টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮.৬০ টাকায়।
ঢাকা/এনটি/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম প ন ট র চলত হয় ছ ল ০
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস অপচয়ে বছরে ক্ষতি ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি: পেট্রোবাংলা
কারিগরি ক্ষতির (সিস্টেম লস) নামে গ্যাস অপচয় বাড়ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্যাস বিতরণ লাইনে অপচয় হয়েছে গড়ে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ গ্যাস। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) মার্চ পর্যন্ত অপচয় হয়েছে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এতে আর্থিক ক্ষতি ৩ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। এর বাইরে সঞ্চালন লাইনে অপচয় হয়েছে ২ শতাংশ।
‘দেশের জ্বালানিনিরাপত্তা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়; গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব তথ্য উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এতে বলা হয়, ২ শতাংশ অপচয় গ্রহণযোগ্য, তাই ওইটুকু সমন্বয় করেই আর্থিক ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে। গ্যাসের অপচয় রোধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ছয়টি গ্যাস বিতরণ সংস্থা।
পেট্রোবাংলা বলছে, গ্যাস অপচয়ের জন্য দায়ী হচ্ছে পুরোনো, জরাজীর্ণ পাইপলাইন; গ্যাস সরবরাহ লাইনের গ্যাসস্টেশন রাইজারে লিকেজ (ছিদ্র); তৃতীয় পক্ষের উন্নয়নকাজে পাইপলাইন ছিদ্র হওয়া এবং আবাসিক খাতে প্রচুর অবৈধ সংযোগ। তবে এসব অপচয় রোধে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস সরবরাহব্যবস্থায় মিটারিং/ মনিটরিং ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা; লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কারিগরি ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে রাখা; অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও উচ্ছেদ কার্যক্রম জোরদার করা এবং আবাসিক গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা।
দেশের গ্যাস খাতের চিত্র তুলে ধরে সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন। তিনি বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমতে কমতে ১৫ বছর আগের জায়গায় চলে গেছে। গ্যাস অনুসন্ধান জোরদারের কোনো বিকল্প নেই। গ্যাস চুরি ও অপচয় কমাতে হবে। সঞ্চালন ও বিতরণ মিলে কারিগরি ক্ষতি প্রায় ১০ শতাংশ, যা অনেক বেশি। সঞ্চালন লাইনে কারিগরি ক্ষতি কোনোভাবেই ২ শতাংশ হওয়ার কথা নয়। এটা ভালো করে দেখা উচিত।
শিল্পে নতুন সংযোগে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন, সঞ্চালন লাইনে কারিগরি ক্ষতির বিষয়টি গভীরভাবে দেখা হচ্ছে। অবৈধ সংযোগ বন্ধে পেট্রোবাংলা তৎপর আছে, খোঁজ পেলেই বিচ্ছিন্ন করা হবে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিল্পে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, যেহেতু তারা বেশি দাম দেবে। তাই অগ্রাধিকার বিবেচনা করে তিনটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের তালিকায় থাকছে, যেসব কারখানায় এখনই সংযোগ দেওয়া যাবে। এগুলো পরিদর্শন প্রায় শেষের দিকে, আগামী সপ্তাহে শেষ হয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করতে নতুন টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রাধিকার পাচ্ছে স্থলভাগের টার্মিনাল। মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকায় এটি করা হবে। এটি হলে কম দামের সময় বাড়তি এলএনজি কিনে মজুত করা যাবে। তবে এগুলো রাতারাতি করা যায় না, পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।
জাতীয় গ্রিডে নতুন করে দিনে ৭৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে
তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন অংশীদারত্ব চুক্তি (পিএসসি) নিয়ে একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) মো. শোয়েব। তিনি বলেন, স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য তৈরি পিএসসির খসড়া জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ে একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫০টি কূপ সংস্কার, উন্নয়ন ও খননের প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১৮টির কাজ শেষ হয়েছে। জাতীয় গ্রিডে নতুন করে দিনে ৭৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে। ৪টি কূপের কাজ চলমান। এ ছাড়া পেট্রোবাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন সংস্থাটির পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আবদুল মান্নান পাটওয়ারী।
সবচেয়ে বেশি বকেয়া বিদ্যুৎ খাতে
পেট্রোবাংলার আর্থিক দিক তুলে ধরেন সংস্থাটির পরিচালক (অর্থ) এ কে এম মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, গত অর্থবছরে পেট্রোবাংলার রাজস্ব আয় ৫৪ হাজার ১১৭ কোটি টাকা, এর মধ্যে অর্ধেক বকেয়া। গত মে পর্যন্ত গ্যাস বিল বকেয়া ২৭ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। এটি ধীরে ধীরে কমে আসছে। ১৩–১৫ হাজার কোটিতে বকেয়া নেমে এলে সন্তোষজনক। সবচেয়ে বেশি বকেয়া বিদ্যুৎ খাতে ১৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এরপর সার কারখানায় বকেয়া আছে ৯৬৪ কোটি টাকা। তবে বিদেশি কোনো কোম্পানির কাছে বিল বকেয়া নেই পেট্রোবাংলার। সব বিল শোধ করা হয়ে গেছে।
গত অর্থবছরে প্রতি ইউনিটে লোকসান হয়েছে ৪ টাকা
পেট্রোবাংলা বলছে, এলএনজি আমদানি শুরুর পর থেকে লোকসান শুরু হয় সংস্থাটির। প্রতিবছর সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নিচ্ছে পেট্রোবাংলা। ২০১৮-১৯ সালে এলএনজি আমদানি শুরু হয়, ওই বছর ভর্তুকি ছিল ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এরপর এলএনজি আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভর্তুকিও বাড়তে থাকে। গত অর্থবছরে তারা ভর্তুকি নিয়েছে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত পেট্রোবাংলা মোট ভর্তুকি নিয়েছে ৩৬ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। পেট্রোবাংলার হিসাবে গত অর্থবছরে প্রতি ইউনিট গ্যাস সরবরাহে পেট্রোবাংলার খরচ হয়েছে ২৭ টাকা ৫৩ পয়সা। তারা বিক্রি করেছে ২২ টাকা ৯৩ পয়সায়। এর মানে প্রতি ইউনিটে লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা।