কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ছয় জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

অপর পাঁচ জন হলেন—সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখার সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোরশেদ আলম মামুন, একই শাখার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ (বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান) রেজওয়ানুল কবির, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইনচার্জ অব ইমপোর্ট ডিপার্টমেন্ট (বর্তমানে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ) অমীয় কুমার মল্লিক এবং এভিপি ও ইনচার্জ অব এক্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট (বর্তমানে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ) আশরাফুল ইসলাম।

আবেদনে বলা হয়, আসামিরা প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজে অবৈধ উপায়ে লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখা থেকে  ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা তুলে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাত করেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।

মামলা তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা বিদেশে পালাতে পারেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে মামলার তদন্তকাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। তাই, তাদের বিদেশগমন রহিত করা প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ইনচ র জ

এছাড়াও পড়ুন:

৭ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত সাতটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন, ২০২৫) ও অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি-জুন, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ব্যাংকগুলো হলো- ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি, যমুনা ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, ওয়ান ব্যাংক পিএলস, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি।

বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে বড়-মাঝারি বিনিয়োগকারী বেড়েছে: বিএসইসি

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক: চলতি হিসাব বছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.০৯ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ২.১১ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ১.০২ টাকা বা ৪৮ শতাংশ। এদিকে কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১৭ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৭৮ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.৬১ টাকা বা ৭৮ শতাংশ। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৩.৪৫ টাকায়।

মিডল্যান্ড ব্যাংক: চলতি হিসাব বছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১৮ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৪৩ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.২৫ টাকা বা ৫৮ শতাংশ। এদিকে কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০২ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৩২ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.৩০ টাকা বা ৯৪ শতাংশ। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪.৫৫ টাকায়।

যমুনা ব্যাংক: চলতি হিসাব বছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩.৩১ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৩.২৮ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ০.০৩ টাকা বা ১ শতাংশ। এদিকে কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.৪০ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.৫৩ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.১৩ টাকা বা ৯ শতাংশ। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪.৫৮ টাকায়।

ঢাকা ব্যাংক: চলতি হিসাব বছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.১৫ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.৫১ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.৩৬ টাকা বা ২৪ শতাংশ। এদিকে কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩০ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৭৫ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.৪৫ টাকা বা ৬০ শতাংশ। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩.৫৮ টাকায়।

ওয়ান ব্যাংক: চলতি হিসাব বছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৮৫ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.১২ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.২৭ টাকা বা ২৪.১০ শতাংশ। এদিকে কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.২৪ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৭৪ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.৫০ টাকা বা ৬৭.৫৭ শতাংশ। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২.২৯ টাকায়।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: চলতি হিসাব বছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪.৩৩ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৫০ টাকা। এদিকে কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২.৯৩ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৩৩ টাকা। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.৮২ টাকায়।

সাউথইস্ট ব্যাংক: চলতি হিসাব বছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৯১ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ০.০৯ টাকা বা ৯.৮৯ শতাংশ। এদিকে কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৫৯ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.২২ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ০.৩৩ টাকা বা ১৪৫.০৯ শতাংশ। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪.৩৩ টাকায়।

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
  • সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডি নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসেনের পদত্যাগ
  • ৭ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ