১৬৬ টেস্ট, ৩২৮ ওয়ানডে ও ২৫ টি–টোয়েন্টি—আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৯.১০ ব্যাটিং গড়ে তাঁর রান ২৫৫৩৪। ফিফটি ১৪৯টি, সেঞ্চুরি ৬২টি। ৩২.১৪ বোলিং গড়ে উইকেট ৫৭৭টি। টেস্টে রেকর্ড ২৩ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন। ২০০৫ সালে হয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার। আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে একাদশে ছিলেন মোট আটবার। হল অব ফেমেও জায়গা করে নিয়েছেন পাঁচ বছর আগে।

এমন বর্ণিল ক্যারিয়ারের মালিক জ্যাক ক্যালিসকে সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মানতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে রিকি পন্টিং ক্যালিসকে সবার ঊর্ধ্বে রেখেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল অধিনায়কের চোখে, দক্ষিণ আফ্রকার কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ক্যালিসই সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া সাংবাদিক ও উপস্থাপক মার্ক হাওয়ার্ডের ইউটিউব চ্যানলে এ কথা জানিয়েছেন পন্টিং।

হাওয়ার্ডের ‘দ্য হাউয়ি গেমস’ পডকাস্ট অনুষ্ঠানে পন্টিং বলেন, ‘জ্যাক ক্যালিস এখন পর্যন্ত খেলা সেরা ক্রিকেটার। এ নিয়ে অন্যরা কে কী বলল, তা তোয়াক্কা করি না। জ্যাক ক্যালিসই আমার কাছে শেষ কথা। ১৩০০০ রান—৪৪ বা ৪৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি এবং ৩০০ (টেস্ট) উইকেট। ওর ক্যারিয়ারটা অসাধারণ। আপনি ৩০০ টেস্ট উইকেট নিতে পারেন এবং ৪৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি করতে পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে দুটিই করা আশ্চর্যজনক ব্যাপার। জ্যাক দুটিই করেছে।’

ক্রীড়া সাংবাদিক মার্ক হাওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে রিকিং পন্টিং (ডানে).

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ