দিনাজপুরে বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলায় জড়িত সন্দেহে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৪ নেতা আটক
Published: 5th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলায় জড়িত সন্দেহে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। একই দিনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ককটেল হামলার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও প্রয়াত প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিলশাদ হোসেন ও এলুয়াড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম খন্দকার মহিব্বুল বলেন, মঙ্গলবার বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। উপজেলা বিএনপির নেতারা থানায় এসেছেন। একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী উপজেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ফুলবাড়ী পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলীয় কার্যালয় হতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসে। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুবদলের সভাপতি মোন্নাফ মুকুল, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বাবু চৌধুরী, ফুলবাড়ী যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব মানিক মণ্ডল প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। সেই মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ আলী সাহাজুল ও পৌর যুবদল কর্মী নুরুন্নবী বকুলসহ ছয় নেতা-কর্মী আহত হন।
আরও পড়ুনফুলবাড়ীতে বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলা, আহত ৬০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র ম ছ ল য বদল র উপজ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি