দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলায় জড়িত সন্দেহে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। একই দিনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ককটেল হামলার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও প্রয়াত প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিলশাদ হোসেন ও এলুয়াড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম খন্দকার মহিব্বুল বলেন, মঙ্গলবার বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। উপজেলা বিএনপির নেতারা থানায় এসেছেন। একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী উপজেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ফুলবাড়ী পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলীয় কার্যালয় হতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসে। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুবদলের সভাপতি মোন্নাফ মুকুল, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বাবু চৌধুরী, ফুলবাড়ী যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব মানিক মণ্ডল প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। সেই মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ আলী সাহাজুল ও পৌর যুবদল কর্মী নুরুন্নবী বকুলসহ ছয় নেতা-কর্মী আহত হন।

আরও পড়ুনফুলবাড়ীতে বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলা, আহত ৬০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ম ছ ল য বদল র উপজ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ